নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি ও জামায়াতের নেতাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। ওই রকম কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে সংঘটিত হয়নি। মূলত ভোট ডাকাতির পথ সহজ করতে একটি মহলের ইন্ধনে প্ররোচিত হয়ে পুলিশ এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে ।  মিথ্যা মামলার জবাব ব্যালেটের মাধ্যমে দেবে ভোটাররা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত। তা বুঝতে পেরে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাসেদুল হক রাসেল, সহ-সভাপতি ফাহিমুর রহমা ফাহিম, পৌর ছাত্রদল সভাপতি এনামুল হক এনাম ও এক যুবদলনেতাসহ আরো ৫৩জনকে আসামী করে পুলিশ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। ভোট ডাকাতির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে আমাদের কোনোঠাসা করে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সরকার দলীয় প্রার্থী কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, মামলা এজাহার মতে ১৭ জুলাই ভোর ৫টা ৫৫মিনিটে নাশকতা করতে যানবাহনে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও আগুন দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে শহরের মানুষ ঘুমে থাকে। তখন গাড়িও চলে না। সেখানে নাশকতার চেষ্টা কিভাবে হয় তা এখন বড় প্রশ্ন। তবে আসল কথা হলো, নেতাকর্মী ফাঁসিয়ে ভোট ডাকাতির পথ সহজ করতে এই সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারে বিএনপি সব সময় শান্তির রাজনীতি করে আসছে। ভবিষ্যতেও করে যাবে। আমরা অহিংস পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। ভোটাররাই আমাদের শক্তি। তারা এই জঘন্য মিথ্যার জবাব ব্যালেটের মাধ্যমে দেবেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন ২নং ওয়ার্ডে মাইকিংয়ে বাধা দিচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে এবং নেতাকর্মী নানাভাবে হয়রানি করছে।


জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। পুলিশ সম্পূর্ণ একটি সাজানো মিথ্যা দায়ের করে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন বিএনপির প্রতিপক্ষ পুলিশ না মুজিব। পুলিশ যা করেছে তাতে পুলিশের অধীনে নির্বাচন হলে নিরপেক্ষতা বিঘিœত হবে। এখন আমাদের একমাত্র আস্থা সেনাবাহিনী। তাই আমরা কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি।’

কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিবর্তন করে কক্সবাজার কেজি স্কুলের স্থানান্তরকেও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান প্রভাব কাটিয়ে ওই কেন্দ্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজের ঘরের কাছে নিয়ে এসেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরীরর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোহাম্মদ আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আকতারুল আলম, জেলা বিএনপি সদস্য এড. আবু ছিদ্দিক ওসামনী, সহ-দপ্তর সম্পাদক এড. হাসান ছিদ্দিকী, রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম চেয়ারম্যান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দীন জিসান, সাংগঠনিক আমির আলীসহ অন্যান্যরা।