আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা পুলিশ গাড়ী তল্লাসী চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া চকরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিনকে (৪০) জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনায় পুরো চকরিয়া জুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী এ শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষর্থীরা কি আশা করবে এখন এ প্রশ্ন সকলের মুখে মুখে। গত ১৩ জুলাই রাত ১২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপি’র আকবর থানা পুলিশ নগরীর এ কে খান এলাকায় ঢাকাগামী বাসে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। সে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশ কাটা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে ও পশ্চিম বড়ভেওলা (দরবেশকাটা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক|

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আটক প্রধান শিক্ষক ৩০ হাজার ইয়াবা নিয়ে ওইদিন রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা থেকে বাসে চড়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। গোপনে এ খবর পেয়ে আকবর শাহ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে ওই বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় সন্দেহ হওয়ায় প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ওই বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক ইতির্পূবে টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকায় গেছে। এ ব্যাপারে মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা (নং ২৯,জিআর ২৭৫) দায়েরের পর বিজ্ঞ চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, মহানগর আদালত,চট্টগ্রাম এর মাধ্যমে তাকে জেল হাজাতে প্রেরন করা হয়েছে। তবে ইয়াবাসহ ধৃত জমির উদ্দিন থানার তদন্তকারী অফিসারকে তথ্য গোপন করে নিজেকে জসিম উদ্দিন বলে পরিচয় দিয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু কোন কাগজপত্র পাইনি। পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গত শুক্রবার রাতে প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দিন ইয়াবাসহ প্রেফতার হলেও চকরিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের বিষয়টি জানে না বলে জানা গেছে। তার না জানার বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানান অভিভবাক মহল।

এলাকাবাসী জানায়, জমির উদ্দিন শিক্ষক নামের কলঙ্ক। শিক্ষকতার আড়ালে সে এতদিন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিল। দিনের পর দিন স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।

স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, জমির উদ্দিন প্রধান শিক্ষক হলে দীর্ঘদিন ধরে তার আচরণ ও চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল। শিক্ষক হলেও আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের সন্তান হাঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়।