কিন্তু ফাইনালে ফরাসী সৌরভ ছড়িয়ে যখন গ্রিজম্যান-এমবাপেরা বিশ্বকাপের ট্রফিটা হাতে তুলে নিলেন, তখন আরও একবার প্রমাণ হলো, ট্যলেন্ট ইজ টেম্পোরারি অ্যান্ড ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। বিশ্বকাপ ফাইনালের চাপ ধরে রেখে, স্নায়ু শক্ত রেখে ম্যাচটা বের করে আনার মত ক্ষমতা এবং যোগ্যতা ছিল কেবল ফ্রান্সেরই। ক্রোয়েশিয়া হয়তো কিছু প্রতিবা দিয়ে আবেগ তৈরি করতে পেরেছিল। মাঠের খেলায়ও বেশ পারঙ্গমতা দেখিয়েছিল; কিন্তু দিন শেষে বিশ্বজয়ীর নাম ফ্রান্স। ফেবারিটের মতই জিতলো ফরাসিরা।

jagonews24

রাশিয়ান সময় রোববার রাতে ট্রফি জয়ের পর সোমবার বিকালেই ফ্রান্সে ফিরেছে বিশ্বজয়ী ফুটবলাররা। একটি বিশেষ বিমানে করে মস্কো থেকে প্যারিসে গিয়ে পৌঁছান গ্রিজম্যান-এমবাপেরা। সঙ্গে কোচ দিদিয়ের দেশম এবং দলের কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ছিলেন আলাদা বিমানে। তিনিও ফিরেছেন প্যারিসে।

তবে, বিশ্বজয়ী ফুটবলারদের অভ্যর্থনা জানাতে প্যারিসে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ। অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। অধিনায়ক হুগো লরিস বিশ্বকাপ ট্রফিটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসেন বিমানের দরজা দিয়ে। সেখানেই তাকে দেখা যায় বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে। যেন ফ্রান্সসহ সারা বিশ্বকে জানান দিলেন, দেখো আমরা চ্যাম্পিয়ন।

jagonews24

পগবা-গ্রিজম্যান-এমবাপেদের অভ্যর্থনা জানাতে প্যারিসের আইপেল টাওয়ার এবং এলিসি প্রাসাদের সামনে জড়ো হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি সমর্থক। তারা প্রথমে জড়ো হয়েছিল বিমান বন্দরের সামনে। প্রশাসন শুরুতে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছিল। পরে তারা অবস্থান নিয়েছে এলিসি প্রাসাদ এবং আইপেল টাওয়ারের সামনে। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশাল এই জনসমাবেশের সামনে দিয়েই ছাদ খোলা বাসে করে ট্রফি নিয়ে মিছিল করে যাবেন ফ্রান্সের বিশ্বজয়ী ফুটবলাররা।