লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার শীর্ষ চাঁদাবাজ সোহেল (২৯) ও দূর্ধর্ষ ডাকাত রিয়াদদ(২৫) কে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। গত ১৩ জুলাই দিনগত রাতে আদের আটক করা হয়।
আটক চাঁদাবাজ সোহেল লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ছাকিফিরানী এলকার জামাল উদ্দিনের পুত্র এবং ডাকাত রিয়াদ চুনতি কুমুদিয়া পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র।

জানা যায়, আটক সোহেলের অত্যাচারে অতিষ্ট বড়হাতিয়াবাসী। তার আটকে এলাকায় স্বস্তির নিশ্বাস এসেছে বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী। সে চাঁদাবাজি ছাড়াও এলাকার লোকদের বিভিন্ন ভাবে ধোকা দেন। প্রতারানা করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এদিকে সোহেলের আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বড়হাতিয়া মনুফকিরহাট বাজারে মিষ্টি বিতরণ করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, প্রথমে লোহাগাড়া পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, সোহেল এলাকায় পুলিশ, সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করতেন। কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পেতো না।

স্থানীয়রা আরো বলেন, সোহেল শুধু চাঁদাবাজি করতো না, আরো বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাকে রিমান্ডে অানলে আরো অপকর্মের তথ্য বের হবে বলেও জানান তারা।

ওই এলাকার করিম নামের এক যুবক বলেন, মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা দিয়েছি। প্রায় সময় সে ভয় দেখাতো।

বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জোনাঈদ চৌধুরী বলেন, সোহেল এলকার একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরোদ্ধে পরিষদে অভিযোগের শেষ নেই।

অন্যদিকে আটক ডাকাত রিয়াদ চুনতি এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্থানীয়রা জানান। চুনতি এলাকায় যেসব চুরি ডাকাতি হয় সেগুলোর সাথে রিদায়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

লোহাগাড়া থানার ওসি মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, সোহেলের বিরোদ্ধে লোহাগাড়া থানায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরোদ্ধ থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সোহেল এলাকার চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরোদ্ধে থানায় ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লোহাগাড়া থানা এলাকায় কোন প্রকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, চুরি ও ডাকাতি রোধে পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করে চলছে। এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।