সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
গভীর রাতে পুর্ণিমার জো’র সুবাধে চিংড়ি ঘেরে সংঘবদ্ধ ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে ঘের শ্রমিকদের জিম্মি করে মাছ জাল লুট করে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। এসময় ডাকাতরা গুলি করে শহিদু নামের এক ঘের শ্রমিককে অপহরন করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ডাকাতের গুলিতে আহত হয়েছে আরো ৪ ঘের শ্রমিক। তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী চিংড়ি জোনখ্যাত বহলতলী বড় মসজিদ ঘোনায় ঘটে ডাকাতির এ ঘটনা। এসময় ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে মাছ-জালসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। ডাকাতির পর থেকে বহলতলীর অপরাপর চিংড়ি ঘেরসহ পার্শ্ববর্তী ঘেরে চরম আতংক বিরাজ করছে।

বহলতলী বড় মসজিদ ঘোনার মালিকরা জানায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় ২৫/৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল নির্বিচারে গুলি করে চিংড়ি ঘেরের জাল বাসার চারদিকে ঘিরে পেলে। এসময় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘের শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গুলিতে ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়। তারা হলেন ঘের শ্রমিক ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া এলাকার মমতাজ আহমদের পুত্র তৌহিদুল আলম, একই এলাকার বেলাল উদ্দীন, নয়াপাড়ার মোকতার আহদের পুত্র মনির আহমদ ও ছৈয়দ ফকিরের পুত্র মো: কালু। তাদেরকে গুরত্বর অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ঘের শ্রমিক মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের ফজল করিমের পুত্র শহিদুকে ডাকাতরা অপহরন করে করে নিয়ে গেছে। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহত ঘের শ্রমিকরা বলেন, ডাকাতরা গুলি করতে করতে তাদের জাল বাসায় পৌঁছলে জানের ভয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতরা তাদেরকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। অপরাপর শ্রমিকরা পালিয়ে বাচঁলেও ডাকাতদের গুলিতে তারা আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি লোকেমুখে শুনে খবরাখবর নিচ্ছি। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হবে।