হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :
টেকনাফে স্বামীর ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থতার যন্ত্রণা আর শ্বাশুড়ীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরধরে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, ১২জুলাই সকাল সাড়ে ১০টারদিকে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম পানখালীর রবিউল আলমের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী হালিমা বেগম (২৪) এর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তার সংসারে শ্বাশুড়-শ্বাশুড়ী, স্বামী-সন্তান, দেবর-ননদ সবাই থাকলেও অভাব তাড়নায় তাদের সংসারে প্রায় সময় কলহ লেগে থাকত। এরই জেরধরে নৃশংস এই ঘটনার সুত্রপাত বলে স্থানীয় সুত্রের দাবী। এদিকে আত্নহননে নিহত হালিমার নিষ্পাপ দুই শিশু সম্রাট (৫) ও রোমেনা ২ বছর ৬ মাস) কে নিয়ে কোন কূল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছে স্বামী রবিউল আলম। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টারদিকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি বোরহান উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার (সিআইপি) গলায় ফাঁস লাগিয়ে দুই সন্তানের জননীর আতœহননের সত্যতা স্বীকার করেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান,খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বামী রবিউল আলমকে তার এক ভাইরা জিম্মায় সৌদি আরব নেয়। সেখানকার পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। সৌদি গমনের ব্যাপারে পাওনাদার স্বজনেরা টাকার জন্য বার বার বিরক্ত করে আসছে। টাকা শোধ করতে না পারায় কথা কাটাকাটির জেরধরে মৃত্যুর পর চেহারা না দেখানোর কথায় চরম অভিমানী হয়ে উঠে হালিমা।
একদিকে পারিবারিক কলহের কারণে মারধর যন্ত্রণা ; অপরদিকে পাওনা টাকা চাওয়ার অভিমানে বাড়ি শূন্য থাকার সুযোগে নাড়ি ছেঁড়া ধন শিশু রোমেনাকে কক্ষে রেখে ফাঁসির রশিতে ঝুলে আতœহত্যা করে। আদরের স্বামী ও দুই ছেলে-মেয়েকে ফেলে এই গৃহবধুর আতœহননের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।