জহির খন্দকার , ঈদগড় :

রামু উপজেলার ঈদগড় বড়বিল বউঘাট এলাকার এক শিশুকে বলাৎকারের অপরাধে মসজিদের ইমাম কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী ঈদগড় বড়বিল চেংছড়ি মসজিদের ইমাম মনসুর আলম কে শিশু বলাৎকারের অপরাধে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে বলে জানিয়েছেন ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাসেম টুলু। আটক ইমাম মনসুর আলম ঈদগাও ইসলামাবাদ ইউনিয়ের উত্তর গজালিয়া গ্রামের মৃত- আব্দুল মজিদের পুত্র।

জানা যায় গত ৬ ই জুলাই রাতে ঈদগড় বড়বিল বউঘাট চেংছড়ি মসজিদ সংলগ্ন মকতব ঘরে চেংছড়ি মসজিদের ইমাম মওলানা মনসুর আলম একই গ্রামের আব্দু সালামের পুত্র (নাম গোপন) (৮)কে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বলাৎকারের শিকার শিশু মোবারক হোসেন জানান সে ওই দিন রাত ৮ টায় বিশ্ব কাপের খেলা দেখে রাত সাড়ে ১০ টায় নিজ বাড়ীতে যাওয়ার জন্য মসজিদ পর্যন্ত যান। মসজিদ থেকে আরো অনেক দুরে পাহাড়ের ভিতর তার বাড়ী। ভয়ে একা একা বাড়ীতে যেতে না পেরে সে ছাত্রদের সাথে ঘুমানোর জন্য মকতবে যান।
রাত যখন সাড়ে ১২ টা তখন মসজিদের ইমাম মওলানা মরসুর আলম শিশু মোবারক হোসেন কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মোবারক হোসেন চিৎকার দিতে চাইলে তাকে চাকু দিয়ে জবাই করতে চেস্টা করে ইমাম মনসুর আলম। প্রাণভয়ে শিশু মোবারক যখন কাঁপছিল ততক্ষণে ইমাম বলাৎকারের কাজ শেষ করে নেয়।
পরের দিন সকালে বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে ইমাম মনসুর আলম পালিয়ে যাই।গত ৯ জুলাই সন্দা ৭ টায় উক্ত ইমাম রাতের আধাঁরে মকতবে এসে তার আসবাবপত্র গোপনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে বউঘাট বাজারে নিয়ে আসে।সেখানে এলাকার শত শত মানুষের সামনে ইমাম মনসুর আলম তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে।পরে এলাকাবাসী ইমাম মনসুর আলমকে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পে সোর্পদ করে।

গত ৯ জুলাই রাত ১১ টায় ধর্ষক ইমাম মনসুর আলমের বিরুদ্ধে রামু থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রজু হয়েছে বলে জানান ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাসেম টুলু । শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এলাকাবাসী আটক ইমাম মনসুরের দৃস্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছে।