তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম :

বসুধা বিল্ডার্স নামে একটি ডেভালাপার প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে শত কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ ৯ জুলাই সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে শত নারি পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর কদমতলী রেলওয়ে মেন্স স্টোরের সামনে রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়ে দশতলা ভবন মার্কেটের কথা বলে বসুধা বিল্ডার্স নামে একটি ডেভালাপার প্রতিষ্ঠান ৮০০ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরও সময় মত দোকান বুঝিয়ে না দেয়ারও অভিযোগ তুলেন ব্যবসায়ীরা।

বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি রনজিত সরকাররের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করেন, ‘২০০৯ সালে দোকান বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও এখনো পর্যন্ত বসুধা বিল্ডার্স দোকান বুঝে না দেওয়ায় আমরা হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছি।’ রমযান মাসে জাব্বার সাহেব আমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন ঈদের পর ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু করবেন। প্রয়োজনে রাত দিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে হলেও ২০১৯ সালের রমযান মাসের কমপক্ষে ২ মাস আগে দোকান বুঝিয়ে দিবেন এবং যাতে রমযান মাসে মার্কেট উদ্বোধন করা যায়। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে দেয়ার জন্য লোক দেখানো দুই একজন শ্রমিক দিয়ে এত বিশাল ভবনের কাজ চালাচ্ছে। যা রিতিমতো লোক দেখানো।

সমিতির সভাপতি রনজিত সরকার বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি আপনাকে পুষিয়ে দিতে হবে। আগামী কর্মসূচী হবে ২০ জুলাই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশের পর আমরা ঢাকার কর্মসূচি সফল করবো এবং ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবন্ধনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করবো এবং বসুধা বিল্ডার্স কারেন্ট জালের মতো যেখানে যেখানে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন যেমন ময়মনসিংহ, কুয়াকাটা, কক্সবাজার, নারয়নগঞ্জসহ আমরা সারা দেশে বসুধা বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো বলে হুশিয়ারি দেন। তিনি আরো বলেন, বসুধা বিল্ডর্সের এমডি জাব্বার খান, ডিএমডি রেহেনুমা ইয়াছমিন ও ম্যানেজার জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম কণক ব্যাক্তিরা যাতে কোনো রকম দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে দিকে সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি বলেন, যে টাকা আমরা দিয়েছি সব টাকা ব্যাংকের। আমাদেও অনেক টাকা সুদ এসেছে। উক্ত বাণিজ্যিক ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালের মধ্যে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা চুক্তি মোতাবেক সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও দীর্ঘ এ সময়ে ওই দশতলা ভবনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়নি এবং কাউকে কোন দোকানও বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শিমুল দত্ত, নাসির উদ্দিন মোল্লা, সহ-সভাপতি সৈয়দ আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহন, সদস্য আবদুর রউফ, মো. ইলিয়াছ, আকরাম হোসেন, মিহির রঞ্জন দাশ, মো. ইব্রাহিম, মো. নাসির আহমদ, সাখাওয়াত হোসেন নাসির, প্রণবেশ ধর, সুমন কুমার বিশ্বাস, এডভোকেট জাফর, আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান প্রমুখ।