চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়ায় ছড়াখালে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করা বালুর স্তুপে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল সড়ক। ছড়াখালের বেড়িবাঁধ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মানুষের জমিজমা নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের শান্তিরঘাট ডুলাহারছড়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত বালু স্তুপ করে রাখছে চলাচল সড়কের উপরে। এতে ইউনিয়নের শান্তিরঘাট, উলুবনিয়া, কাটাখালী, পূর্বডুমখালী, রিজার্ভ পাড়া এলাকার কয়েক হাজার লোকজন চলাচল চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
সূত্র মতে, শান্তিরঘাটের ডুলাহারছড়া খাল থেকে ইজারা বহির্ভূত বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উলুবনিয়া গ্রামের ও বর্তমান শান্তিরঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত হাফেজ আহমদের পুত্র ছাবের আহমদ। বর্ণিত ডুলাহারছড়া খাল সংলগ্ন তার বাসভবনের সামনে একটি বসতভিটে বলুর স্তুপে ডুবে যাচ্ছে। অপর একটি বসতঘরের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় যেকোনো সময় বসতঘরটি পানির স্রুতে তলিয়ে যেতে পারে।
পার্শ্ববর্তী পূর্বডুমখালী এলাকার মৌলানা ফজল আহমদ নামক এক ব্যক্তি অভিযোগে জানান ডুলাহারছড়া খালের সাথে সংযুক্ত তার বিএস খতিয়ানের দুই দাগের জমি রয়েছে। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তার জমি সীমানার পাড় ভেঙ্গে প্রায় দশ শতক জমি খালের সাথে বিলিন হয়ে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনে এখনো জমির অংশ ভাঙ্গতে থাকায় জড়িত ছাবেরকে নিষেধ করলে উল্টো তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করে। অথচ ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবেনা।
এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। অভিযুক্ত ছাবের আহমদ বলেন তার নিজের নামে কোন ইজারা নেই। যাদের নামে বালু তোলার ইজারা আছে তাদের সাথে সে চুক্তি করে বালু উত্তোলন করছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মু. শিবলী নোমান জানান, বিষয়টি এসিল্যান্ড সাহেবকে জানিয়ে দিচ্ছি। কেউ যদি ছড়া থেকে ডেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।