নিজস্ব প্রতিনিধি :

স্ত্রী ও নিস্পাপ সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে বিদেশ ফেরত স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছে স্ত্রী। এসময় স্ত্রী-সন্তানের উপর হামলা করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। গত ৪জুলাই বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সেকান্দরপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে হতভাগা স্ত্রী নিপা আক্তার জাহানারা (২৫) বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে গত ৫জুলাই চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে।

অভিযোগে জানাগেছে, বিগত ২০১৫সনের ২ আগষ্ট ৩লাখ নগদ ও ৩ লাখ টাকা বাকি মোট ৬লাখ টাকার দেনমোহর ইসলামী শরীয়াহমতে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের সেকান্দরপাড়া গ্রামের মরহুম কবির আহমদের পুত্র শাহিনুল কবির শাহীন এর সাথে বিয়ে হয় চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এক খুলিয়া গ্রামের হাজী মো: আবছারের মেয়ে নিপা আক্তার জাহানারা’র। তৎকালীন সময়ে কাজী সাহেব অসুস্থ রয়েছে পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রাট কাবিননামা সম্পাদন করবে মর্মে স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে চট্টগ্রাম অক্সিজেন মীরপাড়া পেট্টোলপাম্প জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ক্বারী মো: ফয়জুল্লাহর মাধ্যমে বিবাহের আকদ পাঠ করে একটি লিখিত কাগজের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর তারা চট্টগ্রামে একটি বাসা নিয়ে সাংসারিক জীবনও অতিবাহিত করেন। তাদের সুন্দর সংসারে ২০১৭সনের ৬ ফেব্রুয়ারী একমাত্র কন্যা সন্তান জান্নাত কবির নিকাহ জন্মলাভ করেন। সন্তানের জন্মের পর জীবিকা নির্বাহের জন্য স্বামী শাহিনুল কবির শাহীন সৌদি আরব চলে যাওয়ার পর কোন ভরণ পোষণ না দিলেও প্রতিনিয়ত স্ত্রী-সন্ত্রানের সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সম্প্রতি স্বামী দেশের গ্রামের বাড়িতে ফিরলে স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি পেতে চাইলে নতুন করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন এবং নতুন করে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকিও দেন। এক পর্যায়ে চকরিয়ার পূর্ববড়ভেওলা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে অনশন করলে স্বামী শাহিনুল কবির শাহীন ও তার বোন চকরিয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাহিদা সোলতানা ইতিসহ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি, যৌতুক দাবী ও হামলা সংক্রান্ত একটি লিখিত এজাহার পেয়েছেন। বিষয়টি থানার উপপরিদর্শক সুকান্ত চৌধুরী তদন্ত করছেন। তা সত্য প্রমাণিত হলে মামলা গ্রহণসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।