মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ:

সীমান্তে রোহিঙ্গা ও মাদক আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁিড়য়েছে। দেশের সব ক’টি জায়গায় মিয়ানমান হতে পাচার হয়ে টেকনাফ সীমান্ত রোড দিয়ে বিভিন্ন ভাবে পাচার হয়ে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা। সমাজে ইয়াবা বর্তমানে মহামারী আকার ধারন করেছে। ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এসব প্রতিরোধ করতে হলে সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অভিবাকদের আরো সচেতন হওয়া দরকার। সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাদককে না বলি। দেখবেন মাদক নিমূল হয়ে যাবে।

বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবক, যুবতি ও বেকাররা মাদকাসক্ত হয়ে উঠছে। যার পরিবারে কোন সদস্য মাদকাসক্ত হয়েছে তারাই জানে সমাজ ও পরিবারে মাদক কি সমস্যা সৃষ্টি করছে। মাদক অভ্যস্থরা চুরি, ডাকাতি, অপহরন ও হত্যা করে থাকে। এবং মাদকদ্রব্য পাচাররোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীসহ সকলস্থরের নাগরিকদের ঐকান্তিক সহযোগিতা করতে হবে।

২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদর, টেকনাফে “মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ’’ অনুষ্ঠানে রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রকিব উল্লাহ উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

সুত্রে জানা যায় গেল বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২০ র্মাচ পর্যন্ত একশত ঊনষাট কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৬শত টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য ধ্বসং করা হয়েছে।

৬ জুলাই ( জুমাবার) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদর, টেকনাফে “মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ” এর আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রকিব উল্লাহ, সেক্টর কমান্ডার কক্সবাজার রামু, কর্ণেল আবদুল খালেক পিএসসি, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মনজুরুল হাছান খান বিজিবিএম, , ২বর্ডার গার্ড অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ -জামান, জি-১, ডিজিএফআই, কক্সবাজার এর লেঃ কর্ণেল জোবায়ের আহম্মেদ পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কক্সবাজর মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, কক্সবাজার, রাজীব কুমার বিশ্বাস,সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কক্সবাজার রাজীব কুমার দে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, টেকনাফ প্রণয় চাকমা, বাংলাদেশ, কোষ্ট গার্ড ষ্টেশন কমান্ডার টেকনাফ লেঃ কমন্ডার ফয়জুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া, ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকতা, টেকনাফ শুল্ক গুদাম নুরুল মোস্তফা, পরিদর্শক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টেকনাফ সার্কেল মোঃ মোশারফ হোসেন, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোঃ আলী টেকনাফ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ১শত ৫৮ কোটি ৯লক্ষ ৬০হাজার১০০ টাকা মূল্যমানের ৫২লক্ষ ৬৯ হাজার,৮৬৭ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ১৫৮,৬৩,৬০,৬০০/- (একশত আটান্ন কোটি তেষট্টি লক্ষ ষাট হাজার ছয়শত) টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং ৫৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যমানের মায়ানমারের সিগারেট আটক করতে সক্ষম হয়। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধ্বংস করা অন্যান্য মাদক দ্রব্য হচ্ছে ৫লক্ষ ৯০হাজার ৮শত টাকা মূল্যমানের ১,৪৭৭ বোতল ফেন্সিডিল,৪৬হাজার ৫৫গ টাকা মূল্যের ১৩.৩০০ কেজি গাঁজা, ২ লক্ষ ৮৬৫০ টাকা মূল্যমানের ৬৯৫.৫০০ লিটার বাংলা/চোলাই মদ, ৯লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০টাকা মূল্যের ৩,৯৯০ ক্যান আন্দামান বিয়ার, ৮লাখ ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৩,৩৭৩ ক্যান ডায়াব্লু বিয়ার ১২%,৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৩,৫১৮ ক্যান সিংগা বিয়ার, ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৫৪৫ ক্যান চ্যাং বিয়ার, ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ৩৬০ ক্যান চেঞ্জ ক্লাসিক বিয়ার, ১০লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের ৭২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ,৩ লক্ষ ১০ হাজার৫০০টাকা মূল্যের ২০৭ বোতল গ্রান্ড রয়েল হুইসকী, ৩৩ হাজার টাকা মূল্যের ২২ বোতল গ্রান্ড হুইসকি মদ,৫৮হাজার ৫০০ টাকার ৩৯ বোতল গারদা মদ,সাড়ে ৭হাজার টাকার বোতল ঈগল হুইসকি, ৬হাজার টাকার ৪ বাতল মায়ানমার গোল্ড মদ,সাড়ে ৪হাজার টাকার বোতল ডাবল ব্লাক মদ, ১৮ হাজার টাকার ১২ বোতল রয়েল ড্রাইগ্রীন মদ , সাড়ে ৪হাজার টাকার ৩ বোতল মায়ানমার ড্রাইগ্রীন বোতল, ৪৫ হাজার টাকার ৩০ বোতল মেরিন হুইসকি মদ,১৩হাজার ৫শ টাকার বোতল ড্রাগন রাম মদ, ১৮ হাজার টাকার ১২ বোতল জামালিকা মদ ৩হাজার টাকার ২বোতল মায়ানমান ওল্ড ব্যান্ড রয়েছে। অনূষ্ঠান শেষে সকলে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ গ্রহন করেন।