একটি পবিত্র ফুল  ফুটে ওঠার আগেই কুঁড়িতে ঝরে পড়ার উপক্রম হয়েছে শিশু আনিকা আকতার এর। মাত্র ৯ বছর বয়সের নিষ্পাপ শিশুটি জানে না তার জীবন প্রদীপ নিভতে বসেছে। তাই মায়ের কোলে আর থাকতে চায় না আনিকা। ছুটে বেড়াতে চায় দুরন্ত শিশুটি। আনিকাকে কোলে নিয়েই তার জীবন সঙ্কটের এসব কথা জানালেন তার স্নেহময়ী মা ।

হতদরিদ্র আবদুছ সালাম  আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, মেয়ে হার্টে ছিদ্র জনিত রোগে আক্রান্ত। অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে সে। তার মতো গরিব অসহায় পিতার পক্ষে শিশুর এ চিকিৎসা ব্যয় সম্ভব না। কেননা এ চিকিৎসা খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইতোমধ্যে প্রায় অনেক টাকা তার চিকিৎসার পেছনে ব্যয় হয়ে নিঃস্ব। আর উপান্তর না দেখে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আশায় হাত বাড়িয়েছেন তিনি। নিজের কণ্যা শিশুকে বাঁচাতে।

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। এই ব্রতকে সামনে রেখে সহযোগিতা চেয়েছেন সমাজের সকলের কাছে।

আনিকার বাবা সামান্য নৌকার মাঝি, মা পরের বাসায় সুপারী কাটার কাজ করে উপার্জনে কোনমতে তাদের সংসার চলে।

শিশু আনিকা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হসপিটালের অভিজ্ঞ সার্জন ডাঃ সরোয়ার আলম ও ডাঃ আব্দুল মোতালেব এর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ডাক্তার বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে আনিকার অপারেশনের করানো দরকার। এ জন্য প্রয়োজন প্রায় তিন  লক্ষ টাকা। সন্তানের মুখের হাসি ফিরে পেতে তাই সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়েছেন পরিবারটি। সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতা ফিরিয়ে দিতে পারে আনিকার সুস্থ জীবন। দেশ বিদেশের হৃদয়বান ও স্বচ্চল প্রবাসী ভাইদের প্রতি আর্থিক ও মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ রহিল।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে শিশুটির পাশে দাড়িয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন শিকলবাহার “আলোর প্রতীক” নামে সামাজিক সংগঠন।

আনিকাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: 

পিতা আবদুছ সালাম শিকলবাহা ২নং ওয়ার্ড এর (মেম্বার গোষ্ঠির বাড়ি), শিকলবাহা ইউনিয়ন,কর্ণফুলী উপজেলা, চট্টগ্রাম।

মোবাইল- আনিকার মা- ০১৮৪০-২৮৩৫৬১.

বিকাশ নং ০১৮৫৩২৮৪৩৯১.