এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সীমান্তবর্তী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে সম্প্রতি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় সন্ত্রাসীরা প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে নুরুল আলম বুলেট (৩৫) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতের আঙ্গুল কেটে গুরুতর আহত করা হয়।আহত যুবক বুলেট বর্তমানে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই সৃষ্ট বিরোধের ঘটনায় আক্রান্ত পরিবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লামা থানায় ৮জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যকে মামলা তুলে নিতে নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী আক্রান্ত পরিবার জানান।এনিয়ে পরিবার সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর মালুম্মা পাড়া এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে সাবেক মেম্বার গোলাম কাদের তার নামীয় আর হোল্ডিংয়ের ৩২২ নম্বর খতিয়ানের ২৫ একর জায়গা মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের ফলজ ও বনজ চাষবাদ করে আসছে।উক্ত বাগানের দেখাশুনা ও রক্ষানাবেক্ষন কেয়ার টাকার হিসেবে কাজ করছিল একই ইউনিয়নের নুরুল আলম বুলেট নামের এক যুবক। গত ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে ও জায়গা সংক্রান্ত নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৪নম্বর আসামী একই ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নলবনিয়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে জাফর আলমের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা মো: হোসেন মামুনের ইন্ধনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় বাগানের কেয়ার টাকার বুলেটের উপর।হামলায় তাকে বেদড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুপিয়ে পেটে ও তার দু’হাতের আঙ্গুল কেটে নেয়।এ ঘটনায় লামা থানায় ওই দিন রাত্রে একটি মামলা দায়ের করে আক্রান্ত পরিবার।থানায় মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৪নম্বর আসামী জাফর আলম প্রকাশ্যে এসে বাদী ও তার পরিবার সদস্যদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে আক্রান্ত পরিবার দাবী করেন।
জায়গার মালিক গোলাম কাদের বলেন, শত্রুতার জেরে আমার বাগানে আমাকে না পেয়ে বাগানের কেয়ার টাকার নুরুল আলম বুলেটকে কুপিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায় নজির আহমদের ছেলে জাফর আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।এঘটনায় মামলা করার দায়ে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে দিবালোকে নানা ধরণের ভয়ভীতি ও প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।থানায় মামলার এজাহারনামীয় আসামী হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করার পরও পুলিশ প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে।এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আপ্পেলা রাজু নাহা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বাদীকে আসামী কর্তৃক হুমকি দেওয়ার বিষয়টি কেউ জানায়নি।আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সৃষ্ট ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।