এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় রামপুর মৌজা এলাকার ৫৩৪ জন ব্যক্তি (পরিবারের) ১হাজার একর জায়গা জবর দখলে নিতে মেতে উঠেছে একদল চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা।প্রতিনিয় ওই ভূমিদস্যুরা অসহায় পরিবারের ব্যক্তিকে নানা ধরণের হুমকি ও বিভিন্ন মামলার মাধ্যমে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে জায়গার মালিক ও ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রামপুর মৌজাস্থ আর এস ১০৮৬ দাগের ১হাজার একর জায়গা বদরখালী ৩নম্বর ব্লকের খাসপাড়া এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আবদুল গণিসহ ৫৩৪ ব্যক্তি ১৯৭৮সাল পর্যন্ত দীর্ঘময় সময় ধরে ভোগদখল করে আসছিল।পরবর্তীতে ওই জায়গায় নিয়ে কক্সবাজার আঞ্চলিক কর্মকর্তা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম সাব জজ আদালতে একটি মামলা করে। তৎকালীন (সরকার) জিয়াউর রহমান সরকারের শাসন আমলে ওই জায়গা গুলো ১০০ একর ও ১৫০ একর করে নামে বেনামে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা ও ভূমিদস্যুদের নামে লিজ দেন।ওই লিজের বিরুদ্ধে ভোক্তভোগী জায়গার মালিকদের পক্ষথেকে আবদুল গণি গং বাদী হয়ে অপর ৩৪/১৯৭৯ মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলায় বিজ্ঞ জজ জায়গার উপর উকিল কমিশন নিয়োগ করে।নিয়োগকৃত উকিল কমিশন বিরোধীয় জায়গা নিয়ে মামলার বাদীর পক্ষে রিপোর্ট প্রদান করেন।পরে ১৪০/১৯৮১মামলাটি হস্তান্তর করে কক্সবাজার ২য় সাব জজ আদালতে।দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৯৮৩ সালে মামলার বাদীর পক্ষে চুড়ান্ত রায় প্রদান করেন।বর্তমানে আদলতের রায় অমান্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কতিপয় ব্যক্তিকে বাংলাদেশ আঞ্চলিক মৎস্য অধিদপ্তর নতুন করে লিজ দেন ভোক্তভোগী ৫৩৪ ব্যক্তির ভোগদখলীয় জায়গায়। এরই বিরুদ্ধেও ভোক্তভোগীদের পক্ষথেকে ২য় সাব জজ আদালতে অপরজারী মামলা ৩/২০১৪ দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানী করে মামলায় বাদীর বিপক্ষে রায় দেন।এ রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রিভিশন মামলা ৩৮/২০১৪ দায়ের করেন।পরে জেলা জজ আদালত বাদীর পক্ষে চুড়ান্ত রায় প্রদান করে।এবং ২য় সাব জজ আদালতের দেয়া সম্পূর্ণ আদেশ বাতিল করেন।এছাড়াও আদালত বাদীপক্ষকে তাদের ভোগদখলীয় জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ২য় সাব জজ আদালতকে নির্দেশনা দেন।বর্তমানে আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে।এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার কতিপয় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অসহায় ৫৩৪ ব্যক্তি (পরিবারের) ভোগদখলীয় জায়গা জবর-দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।কিন্তু প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্ররা উক্ত জায়গা জবর দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছে বলে ভুক্তভোগী আবদুল গণি জানায়।তিনি এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।