মোঃ মিছবাহ উদ্দিন,ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেহেরঘোনা পাণিবন্যা সড়কটি যেন মরণফাঁদ অথচ দেখার কেউ নেই।
দেখা গেছে,  বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ফলে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে সড়কটি। যে সড়কদিয়ে দু-একটি স্কুল- মাদ্রাসাসহ কয়েক এলাকার ১০/১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ না হওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়াও স্থানীয় আমিনা খাতুন নামের মহিলা রাস্তার ৩ ফিট জায়গা ঘেরাও করে রখায় সংস্কার কাজও করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। দখলকৃত রাস্তার জায়গাটি উদ্ধার করে সংস্কার করতে চাইলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ঐ মহিলাটির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ী ঘোরা চলাচলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে এ সব এলাকায়। যে দিকে কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি নেই। এই গ্রামীন জনপদের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কাচা রয়েগেছে। তাছাড়া যেসব রাস্তায় ইট বসানো হয়েছে তাও দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সেই রাস্তা কাদা ও গর্তে পরিনিত হওয়াই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মেহেরঘোন হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা) ইন্সটিটিউট থেকে জুবাইর ইবনুর আওয়াম (রা) নূরানী মাদরাসা পর্যন্ত পানিবন্যা নামক রাস্তাসহ অধিকাংশ  রাস্তার একই অবস্থা। এসমস্ত রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ হারিয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীসহ সাধারন মানুষের। অল্প বৃষ্টি হলেই যেন দূর্ভোগ নেমে আসে এলাকার মানুষের। এই গ্রামীণ জনপদের রাস্তা গুলির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই।
সাধারন মানুষ বলেন, জনপ্রতিনিধিদের থেকে আমরা কিছুই চাইনা অন্তত আমাদের রাস্তাগুলি একটু চলাচলের উপযুক্ত করে দেবে এমনটা আশাবাদী। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে এই বেহাল রাস্তাগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করে দ্রুত চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামীন কাচারাস্তা গুলোর বেহাল দশা দেখলে মনে হয়না গ্রাম পর্যায়ে কোন উন্নয়ন হয়েছে। তাই সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিতা ধরে রাখতে প্রত্যান্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রধান মৌলানা নাছির উদ্দিন বলেন, বর্ষার মৌসুমে রাস্তাঘাট হাঠা-চলার অনুপযোগী হওয়ায় ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতিও কম হয়। যা লেখাপড়ার চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তাই রাস্তার সংস্কারকাজ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এ ব্যাপারে পরিষদে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কারের চেষ্টা করা হবে।
ঈদগাহ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম বলেন, এই অর্থবছর যেহেতু চলমান মাসে শেষ হবে তাই  রাস্তাটি আগামী অর্থবছরের শুরুতেই সংস্কার কাজ করা হবে।