নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮জুন) দুপুরে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আজাদের মধ্যে কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই নেতার অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় পুরো কলেজে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকিত শিক্ষার্থীরা প্রাণভয়ে দ্রুত কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে আত্মরক্ষা করে।

কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আজাদ বলেন, কলেজের ভর্তিচ্ছুক ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মঈন উদ্দিন। এসময় তাকে মারধরে উদ্যত হয় তারা। বিষয়টি আমরা অপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মঈনকে উদ্ধার করি।

এব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন বলেন, গত ২৭তারিখ থেকে কলেজে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। বেশকিছু ছাত্রলীগ কর্মী আমাকে তাদের ভর্তি কার্যক্রমে সহযোগিতার অনুরোধ করলে আমি কলেজে যাই। এসময় আমাকে কলেজ থেকে চলে যেতে হুমকি দেয়া হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেদিন আমি কলেজ ত্যাগ করি। আজ আবার আমি একই কাজে কলেজে গেলে ফের হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু আমি কলেজ ত্যাগ না করা পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার বাপ্পীর নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালানো হয়। এসময় আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে এসে হামলার শিকার হন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রায়হান রেজা চৌধুরী, ও ১ম বর্ষের সভাপতি মুরাদ হাসান সিকদার। বহিরাগত ছেলে নিয়ে আমাদের উপর এ হামলা চালানো হয়।

ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার বাপ্পী বলেন, আমিও দুজন শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে কলেজে গিয়েছিলাম। এসময় অন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে গিয়ে অবরুদ্ধ কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মঈন উদ্দিনকে উদ্ধার করি। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে একটি পক্ষের ইন্ধনে এ ঘটনায় আমি জড়িত বলে প্রচার করা হচ্ছে।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। বিস্তারিত জেনে সন্ধ্যায় বিষয়টি উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মিডিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে।

এব্যাপারে জানতে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুরের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।