এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে একটি বসত ঘরে পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়।তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়য়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবার। ২৭জুন(বুধবার) দুপুর ১টার দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশ কাটাস্থ দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকায়।এনিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ইবনে আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তার চাচা মৌঃ মাহাবুল্লাহ সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ২ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।এ নিয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। উক্ত অভিয়োগটি সরজমিনে তদন্ত করে তা নিস্পত্তি করে দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য জাকের, আবু ছালেহ ও শামশুকে দায়িত্ব দেন চেয়ারম্যান। ইউপি সদস্যরা বিরোধীয় জায়গা সরজমিনে তদন্ত করে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরিষদের পক্ষথেকে ইবনে আমিনেকে রায় প্রদান করেন।রায় দেয়ার পর থেকে তার চাচা মৌঃ মাহাবুল্লাহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল ক্ষতিকরার।

এরই প্রেক্ষিতে ২৭ জুন সকালে বাড়িতে স্ত্রী ও অন্যান্য সদস্যরা পার্শবর্তী বদরখালী ইউনিয়নের পূর্ব নতুনঘোনা এলাকায় কন্যার জামাতা মোহাম্মদ কাজল হোছাইনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়।ওই সময় বাড়ি লোকজন না থাকার সুবাধে দুপুর ১টার দিকে প্রতিপক্ষ মৌঃ মাহাবুল্লাহর ছেলে-মেয়েরা তার বসত ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে দাবী করেছেন । এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইবনে আমিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানায়।

তিনি আরো বলেন, অগ্নিকান্ডে তার ঘরে রক্ষিত থাকা নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ১ টিভি, ৩টি ফ্যান সহ১০ লাখ টাকা মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে অগ্নিকান্ডে সংবাদ পেয়ে স্হানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান জাকের হোছাইন, বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ীর (আইসি) অরুণ কুমার চাকমা,স্থানীয় দুই মহিলা ইউপি সদস্যরা অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বসতঘরটি পরির্দশন করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত মৌঃ মাহাবুল্লাহ থেকে অগ্নিকান্ডে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি নতুন করে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।অগ্নিকান্ডে সময় আমার বসতঘরে দু’জন মেয়ে ছাড়া কেউ ছিলনা।আগুনে বসতঘর কি ভাবে পুড়ে যায় তা আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা কেউ জানিনা।এটা অত্যান্ত একটি দুঃখ জনক বিষয়।