হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামু উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া টু কচ্ছপিয়া সংযোগ সড়ক একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাকঁখালী ব্রীজের(খালেকুজামান সেতু) এক পাশে ফাটল ধরেছে। ব্রীজের ফাটল ও মাটি সরে যাওয়া নিয়ে এলাকাবাসী রীতিমত আতংকে রয়েছে। গত  বছর ধরে উক্ত ব্রীজের দক্ষিন পাশে  বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
ওই সড়কের দক্ষিন পাশের বালি দিয়ে করা রাস্তাটি ইতিমধ্যে বালি সরে গিয়ে আধ ভাংঙ্গাতে পরিনত হয়েছে। জরুরী ভিক্তিতে সড়কটি সংস্কার না করলে বাকঁখালী ব্রীজটি বাচাঁনো যাবে না বলে হাজারও এলাকাবাসী জানিয়েছে। ওই ব্রীজটির সংযোগ বিছিন্ন হলে রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, ঈদগড়, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী সহ আশ পাশের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। এতে করে একদিকে যেমন জনসাধারন কষ্ট পাবে, অন্যদিকে সরকারী মল্যবান রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।  সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে কোনমতে মেরামত করে দিলেও টিকছেনা বেশি দিন। বিশেষ করে বর্ষা আসলে ফাটল বেশি করে চোখে পড়ে ব্রীজের।
ব্রীজের দক্ষিন ও উত্তর পাশের অংশটি প্রধান অংশ হতে প্রায় ১০ ইঞ্চি সরে গেছে যা পূর্বে ছিল ৫ ইঞ্চির কম এবং ক্রমান্নয়ে এটি বাড়তেই আছে। ফাটল দিন দিন বড় হওয়ার প্রধান কারন জানা যায়, ব্রীজের দক্ষিন পাশের অংশ রক্ষার জন্য নিছে
যে মাটি ছিল তা ক্রমান্নয়ে সরে যাওয়া।
গর্জনিয়া বাকঁখালী ব্রীজের বিষয়ে কথা বলতে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের কথা বলা হলে তিনি জানান, বাকঁখালী ব্রীজটি রক্ষায় তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি এই বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রসাশনের সহযোগীতা কামানা করেন। কচ্ছপিয়া যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও সমাজসেবক নাছির উদ্দিন সোহেল সিকদার  জানান, ঐতিহ্যবাহি গর্জনিয়া ব্রীজের ফাটল রুদে দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত না নিলে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম সড়কের ব্রীজটি ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাবে। কচ্ছপিয়ার থেকে গর্জনিয়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার আগেই তিনি প্রশাসনের দ্রুত সহযোগিতা কামনা করেছেন।