রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:

পেকুয়ায় ২ গ্রাম পুলিশ প্রহৃত হয়েছে। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পেকুয়া থানা পুলিশ ১ জনকে আটক করে। পারাপার সাঁকো ভাংচুর করা হচ্ছিল। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে একদল উত্তেজিত লোকজন গ্রাম পুলিশকে হামলার জন্য ধেয়ে আসে। এ সময় তারা ধারালো দা, কিরিচ নিয়ে গ্রাম পুলিশের উপর হামলে পড়ে। এ সময় ২ জন গ্রাম পুলিশ প্রহৃত হয়েছে। ২৪ জুন রবিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ একজনকে আটক করে। আটককৃকত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ মিজান(৪০)। তিনি ওই গ্রামের মোহাম্মদ হাসেমের পুত্র। খবর পেয়ে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রহৃত দুই গ্রাম পুলিশের নাম আজিজুর রহমান ও কামাল হোসেন। তারা টইটং ইউপির কর্মরত গ্রাম পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পারাপার সাঁকো ও পথের রাস্তা নিয়ে পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামে রফিক, শফি আলম ও মোবিন গংদের সাথে একই এলাকার বাচা মিয়ার পুত্র মো: হাসেম, মিজান, মোর্শেদ, মনছুর গংদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে মামলা বিচারাধীন। ওই দিন দুপুরে মো: হাসেম গং চলাচল খালের উপর নির্মিত সাঁকো গুড়িয়ে দিতে যায়। এ সময় তারা সাঁকো কেটে দেয়। এক পর্যায়ে সাঁকোর দু’পাশে পথের রাস্তা কেটে ফেলে। এ সময় চেয়ারম্যান ওই স্থানে গ্রাম পুলিশ পৌছায়। তারা সাঁকো কর্তন না করতে বারন করছিলেন। এ সময় মিজান, মোর্শেদ, মনছুর, রিয়াজসহ ১০/১২ জনের উত্তেজিত লোকজন ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে গ্রাম পুলিশদের দিকে ধেয়ে আসে। তারা মারমুখী হন। এ সময় চেয়ারম্যান দ্রুত ওই স্থানে পৌছে। তুমুল হট্রগোল হয়। এ সময় পেকুয়া থানা পুলিশ দ্রুত ওই স্থানে পৌছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশ ও পুলিশ জোয়ানরা এদের ধরতে চেষ্টা চালায়। কয়েকজন পালিয়ে যান। তবে মিজানকে একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, টইটংয়ের নয়াখাল নামে প্রবাহমান খালে সাঁকো তৈরী করে বেশ কিছু পরিবার চলাচল করছিলেন দীর্ঘ কাল ধরে। মিজান গং ওই সাঁকো গুড়িয়ে দিয়ে এ সব পরিবারকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। আটককৃত মিজানের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা জানায়, জায়গা আমাদের। তারা জায়গা ভরাট করে চলাচল পথ তৈরী করেছে। গাছ রোপন করে ফসলী জমি অনাবাদি করছে। চেয়ারম্যান টাকা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে। আমার স্বামী নির্দোষ। তার কোন মামলা মোকদ্দমা নেই। গ্রাম পুলিশ আজিজুর রহমান জানায়, মানুষ এ রকম অন্যায় করতে পারে আমাদের বোধগম্য হয়নি। আমরা গিয়েছিলাম মারামারি থামাতে। অথচ তারা দা, ছুির নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, তারা মানুষের চলাচল থামিয়ে দেওয়ার এ অধিকার কোথা থেকে পেল। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করছিলাম। তবে তারা বর্বর হয়েছে। পুলিশ গিয়ে আটক করেছে। পেকুয়া থানার এস,আই কামরুল হাসান জানায়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। যারা হামলা করছিল এদের একজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রেরক