মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সরকার নির্ধারিত প্রবেশ মূল্যের দ্বিগুণের অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গেইট ইজারদার কর্তৃক এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সরকারের বন মন্ত্রণালয় গত ১জুলাই ২০১৭ থেকে দেশের সকল সাফারি পার্কের নতুন প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করেন। এতে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বড়দের ৫০ টাকা ও ১৫ বছরের নিচের শিশুদের জনপ্রতি ২০টাকা করে প্রবেশ টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু তারা এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল বয়সের শিশুসহ ক্ষুদ স্কুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ৫০টাকা টিকেটের মূল্য আদায় করছে। সরেজমিনে ঈদের দিন থেকে তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীর তিন চতুর্থাংশ শিশু লক্ষণীয় ছিল। এরপরেও সাফারি পার্কজুড়ে ছোট ও মাঝারী বয়সের শিশুদের ভিড় দেখা যায়।
টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় কোনপ্রকার ২০টাকা মূল্যের টিকেট বিক্রি হচ্ছে না। এসময় ২০টাকার টিকেট না পেয়ে শতাধিক শিশু বাইরে শুকনো মুখে ঘোরাফেরা করছিল। অদৃশ্য শক্তির জোরে সরকার ঘোষিত মুল্য তালিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সুত্রে জানান।
স্থানীয়রা জানায়, অনিয়মে শিশুদের প্রবেশমূল্য ২০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নেওয়ায় পার্কটির প্রতি দিনদিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে শিশুসহ অভিভাবকরা। এ ছাড়াও সাফারি পার্কের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে লুটপাট ও অনিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। সম্প্রতি ইজারাদার ও কর্তৃপক্ষের মাঝে সংগঠিত ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। উভয় পক্ষের বক্তব্যে, পার্ক কর্তৃপক্ষের দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি ও ইজারাদার পক্ষে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে স্থানীয় প্রভাব বিস্তারে ভাংগচুর করছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি আদালতের মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
এদিকে পার্কের গেইট ইজারাদার মোঃ রফিক বলেন, ঈদের পর থেকে নিয়মিত ২০ টাকা দামের ছোটদের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। ২০টাকা দামের টিকেট বন্ধ করে সকল বয়সী দর্শনার্থীদের ৫০টাকা দামের টিকেট বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে কর্তব্যরত টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের তৃতীয় দিন আমার অফিসে ২০-৩০ জন শিশু এসে জানায় প্রবেশ টিকেটের দাম ৫০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিক কাউন্টারে বলে দিয়েছি নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে ২০টাকা করে নিতে।