প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর আ স ম রায়হান বলেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বিরোধী মতের নেতা-কর্র্মীদের সম্পূর্ণ বিনা কারণে আটক করে জেলের অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ করছে। তারা শুধু মুখে ফাঁকা বুলি আউড়িয়ে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন নিশ্চিতের কথা বলে নিজেরাই আইন বহির্ভূত কাজ করে যাচ্ছে। বিনা ভোটে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা আ’লীগ বিরোধী দল, মত সহ্য করতে না পেরে তাদের ঘায়েল করতে অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতাদের পাইকারি হারে আটক করছে। যা একটি দেশের রাজনীতির জন্যে অশনি সংকেত ছাড়া আর কিছু নয়। ক্ষমতাসীনরা তাদের নির্লজ্জ খায়েশ মেটাতে আধিপত্যবাদীর পা চাটা কুকুরের মতো একের পর এক দেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে সবুজ-শ্যামল প্রিয় বাংলাদেশকে রক্তে রঙ্গিন করে দিয়েছে। এ ঘৃণ্য কাজ করতে গিয়ে তারা পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কোন সভ্য নাগরিক এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে সাহস পাচ্ছেনা। তিনি সরকারের এসব অপকর্ম পরিহার করে অবিলম্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বিনা অপরাধে আটককৃত সকল বন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।

চট্টগ্রামের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রায় দু’শতাধিক সাংস্কৃতিক কর্মীদের আটকের প্রতিবাদ, দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২৪/০৬/’১৮) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর শিবির নেতা কামাল হোসাইন’র পরিচালনায় সমাবেশে নগর শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশে চিহ্নিত, আসল অপরাধীদের আটক কিংবা বিচারের পরিবর্তে বিরোধী মতের দলীয় নেতা কর্মীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে হাস্যকর মিথ্যা, বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করছে। এ বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিজেদের দায়িত্ব বাদ দিয়ে সরকারের মাত্রাতিরিক্ত আজ্ঞা পালন করতেই বেশি ব্যস্ত রয়েছে। এ সুযোগ যথার্থ কাজে লাগাতে তারা নিজেরাই গণহারে অপরাধ কর্ম ও মানুষ হত্যা করে দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছে। তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিকল্পিতভাবে আটক, নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদেরকে অযথা হয়রানি পরিহার করার জোর দাবী জানান। নগরীর স্টেশন রোড থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলটি নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।