নুরুল কবির বান্দরবান :

বান্দরবান হতে টাঙ্গাইলে পাচার সন্দেহে ৮ উপজাতীয় শিশু উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বান্দরবান শহরের বাসষ্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় পাচারকারী সন্দেহে রফিকুল ইসলাম খান নামে একটি ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া থেকে ৮ উপজাতীয় শিশুকে পড়াশুনা করানোর কথা বলে টাঙ্গাইলের রফিকুল ইসলাম খান নামে এক লোক বান্দরবান থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসস্টেশন থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, ১) চাম্পাও ¤্রাে (১০) মেয়ে, ২) চাংঙি ¤্রাে (৮) ছেলে, ৩) পাওকক ¤্রাে (৬) মেয়ে, সর্বপিতা- রেংথি ¤্রাে, ৪) চামলে ¤্রাে (৯) মেয়ে, পিতা- কেলুওয়া ¤্রাে, ৫) থংপ্রে ¤্রাে (৮) ছেলে, পিতা- মাংনং ¤্রাে, ৬) সংরুম ¤্রাে (৪), পিতা- মেক্লাং ¤্রাে, ৭) রেংউ খুী (৭) মেয়ে, পিতা- খামলে খুমী, ৮) রুমপাও ¤্রাে (৬) ছেলে, পিতা- নিংসুয়া ¤্রাে। তারা সবাই রুমা উপজেলার বাসিন্দা। তবে উদ্ধারকৃত শিশুদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, আমরা খুবই গরীব। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানোর মত সামর্থ আমাদের নেই। রফিকুল ইসলাম খান আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিনা পয়সায় পড়াশুনার কথা বললে আমরা তার কাছে আমাদের সন্তানদের তুলে দিই। তিনি আজ তাদেরকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করে।

সদর থানার এসআই মো: নাসির উদ্দীন রাসেল জানান, রফিকুল ইসলাম নামে এক লোক ৮ উপজাতীয় শিশুকে নিয়ে বাসষ্টেশন এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাস করলে সে বলে লেখা পড়ার করানোর জন্য টাঙ্গাইলে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার কাছে শিশুগুলোকে নিয়ে যাওয়ার কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাই পাচার সন্দেহে শিশুসহ তাকে আমরা আটক করি। পরে উদ্ধারকৃত শিশুদের পরিবারের সাথে যোগাযোগা করা হলে তারা স্বেচ্ছায় তাদের সন্তানদেরকে লেখাপড়ার জন্য রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে টাঙ্গাইলে পাঠানোর কথা স্বীকার করে। শিশুদের অভিভাবকদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় শিশুদেরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হবে।