২২ জুন (শনিবার) কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আবছার কামাল প্রকাশ কালাপুতুর পরিবারের সংবাদ সম্মেলন’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে খুরুস্কুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, খুরুশ্কুল উচ্চ বিদ্যালয় ও মনিরিয়া বাহারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি মো: জসিম উদ্দীনকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। মূলত রাজনৈতিক ও নির্বাচনী একটি প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছে ‘আবছার কামাল প্রকাশ কালাপুতুর পরিবার।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আবছার কামাল প্রকাশ কালাপুতুর হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনের কোনো ধরণের সম্পক্ততা নেই। বরং তিনি ওই ঘটনার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘটিত মারামারি নিবৃত্ত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে না গেলে আরো বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঘটতো এটা শতভাগ আশঙ্কা ছিলো। মূলত, নির্বাচনী ও রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে এই হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানকে জড়িয়েছে।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আবছার কামাল প্রকাশ কালাপুতু হামলা শিকার হয়ে আহত অবস্থায় পড়ে থাকে। চেয়ারম্যান গিয়ে দু’পক্ষকে নিবৃত্ত করে তার গাড়িতে করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আহত কালাপুতুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই গাড়িতে কালাপুতুর ভাই দিদারও ছিলো। হাসপাতালে এনে তিনি দ্রুততার সাথে চিকিৎসক দেখনোসহ তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যদি তিনি হামলার সাথে জড়িত থাকতেন তাহলে আহত আবছার কামালকে ফেলে তিনি পালিয়ে যেতেন। তিনি হামলায় জড়িত না থাকায় স্বাভাবিক ভাবে আবছার কামালকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে মামলায় মিথ্যা অভিযোগে আসামী করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

তিনি নির্দোষ বলে খুরুশ্কুলের সর্বস্তরের জনজণ, হিন্দু ও রাখাইন সম্প্রদায়, শিক্ষক সমাজ, ইমাম সমাজ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে। তারা জেলা প্রশাসকের কার্র্যালয়ের সামনে স্মরণকালের বৃহত্তর মানববন্ধন করে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনের মুক্তির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, খুরুশ্কুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

জসিম উদ্দীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে খুরুশ্কুলে আইন-শৃঙ্খলাসহ সব সমস্যা তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নানা ধরণের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছেন। যা আগে কখনো কেউ পারেনি। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বসাধারণের জন্য সমানভাবে কাজ করেছেন। তাঁর সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি মিথ্যা অভিযোগে মামলার আসামী জেলে থাকায় খুরুশ্কুলের সর্বস্তরের জনগণ হতাশ হয়েছেন। একই সাথে বিচার কার্যক্রমসহ সমস্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানের মুক্তি এখন খুরুশ্কুলের সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি।

প্রতিবাদকারী
শাহিনা আকতার
কারান্তরীণ খুরুশ্কুল ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীনের স্ত্রী।