মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বাস দূর্ঘটনায় বাবা-মা ও জামাতা নিহত

প্রকাশ: ২০ জুন, ২০১৮ ১২:১৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


পটিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত চকরিয়ার সাবেক শিক্ষক দম্পতি হৃদয় রঞ্জন দাশ ও স্ত্রী শিক্ষিকা বাসন্তী চৌধুরী।

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঈদের আগেরদিন মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ (৭৫)। তাঁর সাথে একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে স্ত্রী শিক্ষিকা বাসন্তী চৌধুরী (৫৩) ও মেয়ের জামাতা শিবাকর দেব (৪০)। তিনজনই ছিলেন বাসযাত্রী। ঘটনার দিন গত শুক্রবার (ঈদের আগের দিন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে) মেয়ের বাড়ি আনোয়ারা থেকে একটি লোকাল বাসে করে পটিয়া যাচ্ছিলেন মেয়ের ননদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে। শ্বশুর-শ্বাশুরির সাথে ছিলেন মেয়ের জামাই শিবাকর দেব। তাদের বাসটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা স্কুলের সামনে পৌঁছলে বিপরীতমুখী অপর একটি বাসের সাথে মুখোমূখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাঁতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান শ্বশুর-শ্বাশুরি ও মেয়ের জামাইসহ তিনজন।

শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ চকরিয়া উপজেলা সদরের পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত শশী কুমার দাশের ছেলে। এদিকে পটিয়া বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষক দম্পতি ও তাদের মেয়ের জামাই নিহত হবার খবরে চকরিয়ায় গ্রামের বাড়িতে শুরু হয় শোকেম মাতম। বিশেষ করে শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশের মৃত্যুতে তাঁর কর্মময় জীবনের সহযোগি শিক্ষক সমাজ, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার রাতে প্রিয় শিক্ষকের মরদেহ একনজর দেখার জন্য তাঁর বাড়িতে শিক্ষার্থী, পরিচিতজন, এলাকাবাসি ও সমাজের সকলস্তরের মানুষের ঢল নামে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের পটিয়া-ক্রসিং এর ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী চেয়ারকোচ পটিয়ার লড়িহরা স্কুলের সামনে পৌছলে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়ায় যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসের (চট্টমেট্রো চ-১১-১৪৪১) মুখোমূখী সংর্ঘষ হয়। ওইসময় শিক্ষক দম্পতি ঘটনাস্থলে নিহন হন। জামাতা শিবাকর দেবকে মুমর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

এ ঘটনায় আহত হন নারী-শিশুসহা অন্তত ১৯জন যাত্রী। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনার পরপর যাত্রীবাহী বাস দু’টি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।