জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ গত তিন মাসে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮লক্ষ ৫০হাজার পিচ ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করেছে। এসময় বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারসহ ৭৫জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়।

পুলিশ জানায়, ১ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিদের্শনায় পুলিশ সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮লক্ষ ৫০হাজার ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য অন্তত ৫৫কোটি ৫০লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশ ৪০টি মাদক মামলার বিপরীতে ৪৫জন আসামীকে হাতে নাতে আটক করেন। উক্ত সময়ে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি এলজি, ৩টি বন্দুক, ১টি পিস্তল ও ২০রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন।

এদিকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেকগুণ বেশী ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করায় টেকনাফ থানা পুলিশ ইতিমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্টত্বের পদক পেয়েছেন। তবে সম্প্রতি আইন শৃংখলা বাহিনী এবং দুস্কৃতিকারীদের মধ্যে সৃষ্ট বন্দুকযুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ টেকনাফের ৫ব্যক্তি হতাহতের ঘটনায় সীমান্তে ইয়াবা কারবারীদের মধ্যে চরম প্রভাব পড়েছে।

ঘটনার পরপরই মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের কেউ কেউ আত্মগোপনে এবং অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মিত দালান কোটা এখন জনশুন্য। ওদের রাজ প্রসাদ এখন খাঁ খাঁ করছে। এই কারণে পুলিশ বা অন্য বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে ইয়াবা কারবারীদের স্বপ্নের ঘর সমূহে সত্তরোর্ধ্ব নারী ছাড়া আর কেউ থাকেননা। এদিকে মাদক বিরোধী অভিযান টেকনাফের ঈদের বাজারে পর্যন্ত প্রভাব পড়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

তবে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রণজিত কুমার বড়–য়া জানান, ইয়াবার বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির নিদের্শনায় ইয়াবা শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে এ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, পুলিশের মৌলিক কাজ আইন শৃংখলার দায়িত্ব হলেও সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।