ফ্রিল্যান্স প্রতিবেদক:

এইবার ঈদগাঁওতে স্মরণকালের ইতিহাস ও রেকর্ড ছাড়িয়েছে বন্যা। এই রেকর্ড করা বন্যায় ঈদগাঁও বাজার ইসলামাবাদ এখন প্লাবিত। বাজারের প্রতিটি দোকানে পানি ঢুকে লাখ লাখ টাকার মালামালসহ মুল্যবান জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রমজানের ঈদে দু’পয়সা লাভ করবে বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা সারাবছর লোকসান দিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করে আসছিল। ঈদের বাজার যখন একটু চাঙ্গা হতে শুরু হয়েছে তখনই টানা ৭২ঘন্টা ঘনবর্ষনে সমগ্র বাজার বন্যা কবলিত হয়ে সকল ব্যবসায়ীদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। ব্যবসায়িদের মাথায় হাত উঠেছে এই বন্যায়।
এদিকে গত ১০জুনের বৃষ্টি ও ঢলে ইসলামাবাদের গার্লসস্কুল সংলগ্ন কবি নুরুল হুদা সড়ক ভেঙ্গে গেলে খালে পানি বেড়ে যাএয়ায় এই ভাঙ্গন আরো প্রসস্থ হয়ে এখন একপ্রকার জারি খালে রূপ নিয়েছে । ফলে হরিপুর, ইউছুপের খীল ও বোয়াল খালী গ্রামের শতশত বাড়িঘর পানিতে ডুবে গিয়ে পানিবন্দি হয়ে গিয়েছে। বন্যাপ্লাবিত ও পানি বন্দি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে কক্সবাজার সদর আসনের সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল এসেছেন বন্যা আক্রান্ত এলাকায়। তিনি ইসলামাবাদের ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেছেন- ইসলামাবাদের যে জায়গাটি ভেঙ্গে খাল হয়ে গিয়েছে এই ভাঙনটি বিগত বছর থেকে হয়েছে বলে শোনেছি। যদি আগে থেকে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সরকারি দলের বর্তমান দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা চেষ্টা করতেন তাহলে আজ এভাবে ভেঙ্গে খাল হয়ে যেতো না।
ইসলামাবাদের মানুষকেও এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। দায়িত্বশীলদের গাফিলতির কারনে সবাইকে এভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। আজ গ্রামগুলো ডুবে গিয়ে যেভাবে পুরো এলাকারবাসির যাতায়াতের পথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দরা একটু সোচ্চার হয়ে কাজ করলে এই কষ্ট পেতে হতো না জনগণকে। সরকারি দলের নেতৃবৃন্দরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে এখনো তড়িৎ সমাধান করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক নেতার কাছ থেকে বর্তমান সরকারি দলের এমপি সায়মুম সরোয়ার কমল বন্যাকবলিত এলাকায় পরিদর্শনে আসবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন-‘ওনি এই সময়ে বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। আর তিনি এখন কোথায় তাও আমি জানি না’ বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।