আহমদ গিয়াস/ শাহেদ মিজান
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে সোমবার ভোররাতে আরো দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।এনিয়ে শনিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২২টি বোটডুবির ঘটনা ঘটল। এরমধ্যে রবিবার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ অর্ধশতাধিক জেলের মধ্যে আরো ৩০ জেলেকে একইদিন উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২০ জনের বেশি জেলে।

লঘুচাপের প্রভাবে শনিবার রাত থেকে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর হঠাৎ চরম উত্তাল হয়ে ওঠলে সাগরে মাছধরারত ট্রলারগুলো উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করে। কিন্তু উপকূলের কাছাকাছি বিভিন্ন মোহনায় এসে প্রচন্ড ঢেউয়ের ধাক্কায় ডুবে যায় অনেকগুলো ট্রলার। কিছু ট্রলার সৈকতে তীব্র ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায়। এসময় দূর্ঘটনা কবলিত জেলেরা সাতাঁর কেটে অথবা অন্য ট্রলারে উদ্ধার হয়ে কূলে ফিরতে সক্ষম হলেও এখনও অন্তত ২০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় ট্রলার মালিক সূত্র।

এছাড়া সোমবার উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন- চৌফলদন্ডী ইউপি দক্ষিণ পাড়ার বেলালের ছেলে মামুন, আব্দুল বারেকের ছেলে মোক্তার আহমদ, নুরুল আলমের ছেলে বেলাল এবং ইসমাঈলের ছেলে দুদু মিয়া। তারা সকলেই চৌফলদন্ডির বাবুল কোম্পানীর দূর্ঘটনা কবলিত বোটের জেলে। রবিবারের ওই বোটডুবির ঘটনায় আবদুর শুক্কুর (৪২) নামের এক জেলে নিহত ও ৭ জেলে নিখোঁজ ছিলেন। ওই ঘটনায় এখনও ৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান চৌফলদন্ডীর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহামদ জানান, উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরার সময় সোমবার বঙ্গোপসাগরে দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে আরো দুটি বোটডুবির ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় অধিকাংশ জেলে অন্য ট্রলারে উদ্ধার হয়েছে। বাকীদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে সাগরে অনুসন্ধান চলছে।

তিনি জানান, গভীর সাগরে এখনও অনেক ট্রলার রয়ে গেছে। অনেকে নিরাপদে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে উপকূলের অবস্থা বেশি উত্তাল থাকায় অনেকেই কূলে ফিরতে ভয় পাচ্ছে।