বলরাম দাশ অনুপম:

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার বাঁকখালী মোহনায় বালু বহনকারী ট্রলির ধাক্কায় ফিশিং ট্রলারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময় ফিশিং ট্রলারে থাকা ৪ মাঝি-মাল্লার মধ্যে ২ জন সুস্থ এবং এক জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো এক জন। ঘটনাটি শনিবার দুপুর ১টার দিকে ঘটে।

জানা যায়-কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের উত্তর রাস্তা মাথা এলাকার রেজাউল করিম লুতু মিয়ার মালিকানাধীন ছোট ফিশিং ট্রলার (বোট) নিয়ে সাগরের মৎস্য আহরনকৃত বড় ফিশিং ট্রলার থেকে মাছ ক্রয় করে কূলে বিক্রি করে আসছিল কয়েকজন মাঝি-মাল্লা। প্রতিদিনের মত শনিবার দুপুরেও বঙ্গোপসাগরের লাবণী পয়েন্ট থেকে মাছ ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কূলে ফেরার পথে বাঁকখালী মোহনায় পৌঁছলে এদিক থেকে যাওয়ার পথে বালু বহনের কাজে নিয়োজিত একটি বড় ট্রলি ওই বোটটিকে ধাক্কা দিলে মুর্হুত্বের মধ্যেই বোটটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। এসময় বোটে থাকা ৪ মাঝি-মাল্লার মধ্যে সাইফুল ও রুবেল নামের ২ জন কূলে নিরাপদে উঠতে পাললেও গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় সাদেক হোসেন (২৬) নামের আরেকজনকে। সাদেক খুরুশকুল উত্তর রাস্তার মাথা এলাকার মমতাজ আহমদের পুত্র। সাদেককে প্রথমে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) এখনো নিখোঁজ রয়েছে দিদার (৩০) নামের আরেক ব্যক্তি। দিদার খুরুশকুল ডেইল পাড়ার আব্দুল করিমের পুত্র।

খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বোটের মালিক এবং ৪ জন মাঝি-মাল্লায় তার ইউনিয়নের লোক। তবে নিখোঁজ দিদার জীবিত আছে কিনা মারা গেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।