৬ জুন দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় ‘মাদক অভিযানের ভয়ে সৌদি, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী বিদ্বেষী এক চেয়ারম্যানের যত কর্ম!’ এবং স্থানীয় দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় ‘পেকুয়ার মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গানোর দায়ে চৌকিদার চাকুরিচ্যুত’ পৃথক শিরোনামে একই ধরণের সংবাদ দু’টি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ দু’টি আমরা নিন্ম স্বাক্ষরকারি মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ এবং গ্রাম পুলিশদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ দু’টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীণ, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, হাস্যকর, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর। আমরা এ ধরণের মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সংবাদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি’র প্রসঙ্গ টেনে মূলতঃ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে সস্তা সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন অভিযোগকারি মোস্তাক আহমদ। মূলতঃ সাবেক গ্রাম পুুিলশ মোস্তাক আহমদ মাদকাসক্ত ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের বৈঠকে রেজুলেশনের মাধ্যমে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে গত ৬ মাস আগেই চাকরিচ্যুত করা হয়। যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও যথাযথ মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এমনকি পেকুয়া উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক মিটিংয়েও উল্লেখিত অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া আরেক গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুর রহিমও মাদকাসক্ত ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে ইতিপূর্বে ২০১৩ সালের দিকে শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাবেক গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন-‘ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে ভোট না দেয়ার অপরাধেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করছে।’ কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে, ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই ভোল পাল্টে ‘জাতির জনক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি উল্টানো অবস্থা থেকে সংশোধন করে দেয়ার অপরাধে’ গ্রাম পুলিশ মোস্তাক আহমদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে দাবি করে গত ৪ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে আবারো অভিযোগ করে দরখাস্ত দায়ের করেন। যাতে জাতির জনক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো স্পর্শকাতর বিষয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যানকে ঘায়েল করা যায়। ওই অভিযোগের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদে মগনামা ইউপি’র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমকে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর বডিগার্ড, শিবির ক্যাডার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত জেলার শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারী, ১৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লালন করাসহ নানা ধরণের আপত্তিকর অভিযোগ আনা হয়। একই সাথে চেয়ারম্যান ওয়াসিম মাদক বিরোধী অভিযানের কারণে সৌদি আরব চলে গেছেন বলেও সংবাদে উল্লেখ করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। এটি শুধু মগনামার চেয়ারম্যান নয়, পুরো ইউনিয়ন পরিষদের মানহানি। কারণ চেয়ারম্যান ওয়াসিম উল্লেখিত কোন অপরাধের সাথেই জড়িত নন। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পর্যায়ে মগনামার চেয়ারম্যান ওয়াসিম সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। যা স্থানীয় প্রশাসনের প্রায় সকলেই অবগত। এতোদিন পর হঠাৎ করেই জাতির জনক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো বিষয় টেনে আনায় আমরা যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি। এছাড়া চেয়ারম্যান ওয়াসিম মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর অনেক আগেই মাননীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অনুমতি নিয়ে বিধি মোতাবেক যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই ওমরাহ হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন। আর এমন একটি ধর্মীয় বিষয়কেও হাস্যকর এবং মাদকের সাথে জড়িয়ে উপস্থাপন করাও মানহানিকর। উল্লেখ্য, আমাদের জানামতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে জনাব ওয়াসিমের বিরুদ্ধে দেশের কোথাও একটি জিডিও নেই। শুধুমাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ষড়যন্ত্রকারিরা তাঁর পেছনে লেগে তাঁর সম্মানহানি ও তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কিছুদিন পর পর একেক ধরণের গল্প তৈরী করে সংবাদ প্রচার করে। মূলতঃ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর একমাত্র অপরাধ। সুতারাং সংবাদে উল্লেখিত বিভ্রান্তিকর তথ্য, একেক সময় একেক ধরণের অভিযোগ ও মানহানিকর সংবাদ যাচাই-বাছাই এবং সতর্কতার সাথে পরিবেশনের জন্য আমরা নি¤œ স্বাক্ষরকারিগণ সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে-

ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ বদ, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুল আজিম, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. খোরশেদ আলম, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সাহেদুল আলম, সংরক্ষিত ১,২,৩নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হামিদা বেগম, ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ফারজানা মুন্নি, ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ফাতেমা নার্গিস, গ্রাম পুলিশ মো. আলমগীর, মো. গিয়াস্ উদ্দিন, মো. দেলোয়ার, রুজিনা বেগম, বুলু বেগম প্রমুখ।