ফরিদুল আলম শাহীন :

মাতারবাড়ীতে চলমান তাপভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, এল এনজি টার্মিনাল ও অর্থনৈতিক জোন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অধিকগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণসহ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুত সুযোগ ক্ষতিগ্রস্তরা পাচ্ছে না বিধায়, এলাকায় ক্ষোভ , হতাশা ,দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাতারবাড়ী- মহেশখালী নাগরিক কল্যাণ পরিষদ। মাতারবাড়ীর- মহেশখালী নাগরিক কল্যাণ পরিষদ ব্যানারে ৬জুন সকাল ১১ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।স্মারক লিপিতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক, চিংড়ী চাষী, ভূমিহীন,দিনমজুর ও চিহ্নমূল মানুষের দুঃখ দুর্দশা কথা তুলে ধরা হয়। এ সময় আমরা মাতারবাড়ীর সন্তান ও কক্সবাজারস্থ মাতারবাড়ী ফোরাম নামের আরোও দুটি সংগঠন নাগরিক কল্যাণ পরিষদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে স্মারক লিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ৬ জুন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ঠ ১৫ দফা অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সহজ শর্তে ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয় সকাল ১১ টায়। দুপুর ১২ টায় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে দৈনিক কক্সবাজার বাণী কার্যালয়ে নাগরিক কল্যাণ পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের ঘুষ,দূর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে জনদূভোর্গ চরম আকার ধারণ করেছে মাতারবাড়ী -মহেশখালী উন্নয়ন প্রকল্প এলাকার জনগণের মধ্যে। এই অনিয়ম দূর্নীতি দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন নাগরিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রইচ উদ্দিন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ফ্লাইট সার্জেন (অবঃ) মাহাবুব কামাল অন্যান্যদের মধ্যে সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহম্মদ ছামাদ, প্রফেসর সরওয়ার আলম, সাবেক মহেশখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মোস্তাক আহম্মেদ , এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, মুক্তিযোদ্ধা ধলঘাটার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক, আমরা মাতারবাড়ীর সন্তান সংগঠনের সমন্বক এনামুল হক ও কক্সবাজারস্থ মাতারবাড়ী ফোরামের সম্বনয়কারীর এনামুল হক সাগর বক্তব্য রাখেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন ও ফরিদুল আলম প্রমুখ। বক্তারা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতায় মাতারবাড়ী –মহেশখালী সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি ছেড়ে দিয়ে ও এখনো পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করতে না পারার কারণে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি চিহ্নমূল, গৃহহারা মানুষ এখনো পূনরবাসিত না হওয়ায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণ। অন্যদিকে টাকা উত্তোলন করতে এসে ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ ,দূর্নীতি,অনিয়ম অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন। তা দ্রুত নিরসন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা আদায়ে রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চেয়ে তাদের দুঃখ,দুর্দশার কথা তুরে ধরতে চান। ক্ষতিগ্রস্ত মাতারবাড়ী -মহেশখালীর মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন চান। এ উপলক্ষে নাগরিক কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় হিল টাওয়ার হোটেলে মুক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।