শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ডিবি পরিচয়ে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।সর্বস্ব হারাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গত ১ বছরে ৬/৭ টির অধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়। ছিনতাইয়ের শিকার সকলেই কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এমন ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বেড়ে গেছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে ব্যবসায়ী মহল। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসন কাউকে আটক করতে না পারায় হতাশাগ্রস্থ ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ীরা।জানা গেছে, পটিয়া উপজেলায় একটি সঙ্গবদ্ধ ছিনতাইকারী দল দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে।তারা পুরো উপজেলায় চষে বেড়ায়।সুযোগ বুঝে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত সৌদিয়া পরিবহনে হানা দেয়।নিজেদের ডিবি পরিচয়ে অবৈধ মালামাল রয়েছে মর্মে ধরে গাড়ী থেকে নামিয়ে সর্বস্ব লুট করে ছাঁড়িয়ে দেয়।সর্বশেষ গতকাল ৪ জুন সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে পটিয়া পৌরসভা এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন ঈদগাঁওয়ের মোবাইল সামগ্রী ব্যবসায়ী মৌঃ শফিউল হক।এ সময় তার কাছে থাকা ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও একটি দামী মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় এ চক্রটি।ভুক্তভোগিরা জানায়,প্রতিটি ঘটনা ঘটেছে সৌদিয়া পরিবহন বাসে। অন্যন্যা বাসে করে প্রায় ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামালের জন্য ঢাকা -চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় কোন ঘটনা ঘটে না।নিশ্চয় সৌদিয়া পরিবহনের চালক হেলফার এ সমস্ত ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। তা না হলে প্রত্যক ঘটনা একই উপজেলায় এবং একই পরিবহনের যাত্রীরা কেন ছিনতাইয়ের শিকার হয়? অনুরূপ ভাবে ছিনতায়ের শিকার হয়েছে ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী মাইজ পাড়ার বাসিন্দা খোরশেদ আলম, তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা,বাসস্টেশনের ব্যবসায়ী ইসলামাবাদ পাঁহাশিয়া খালীর বাসিন্দা সাঈদী থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার,ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম থেকে ৭ লক্ষ টাকা,পোকখালীর ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন থেকে দেড় লক্ষ,ইউছুপেরখীলের ফিরোজ আহমদ থেকে ১ লক্ষ টাকাসহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়।ভুক্তভোগী মৌঃ শফিউল হক জানান,এ দিন তিনি টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে দোকানের মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।প্রতিমধ্যে পটিয়া পৌরসভা এলাকায় পৌছলে তাকে বহনকৃত সৌদিয়া পরিবহনটি থামিয়ে ৪/৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল প্রথমে বাসে উঠে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে নামিয়ে একটি সিএনজি যোগে আরকান সড়ক থেকে পশ্চিমের দিকে আরেকটি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে নির্ঝুম এক স্থানে দাঁড়িয়ে নগদ টাকাসহ মোবাইল সেট লুট করে পালিয়ে যায়।তিনি আতংকিত থাকায় থানা পুলিশকে অবহিত করতে পারেনি।তিনি আরো জানান,আমার মত কোন ব্যবসায়ী যাতে ছিনতাইয়ের শিকার না হয় সে লক্ষে আরকান সড়কে নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা হোক।এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়।তিনি রিসিভ না করায় খুদে এসএমএস পাঠানো হয়। রিসিভ এবং এসএমএসের উত্তর না দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।