সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার শহরের বিমান বন্দর ঘেষেই যে এলাকার নাম তা হলো পশ্চিম নতুন বাহারছড়া। এলাকাটি শহরের ২ নং ওয়ার্ডে পড়লেও মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে তেমন একটা উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো নয়। ঝরাজীর্ণ সড়ক, কাদা মাটিয়ে পেরিয়ে চলতে হতো যাতায়তকারীদের। স্বাভাবিক ভাবে যেমন-তেমন বর্ষা আসলেই বাড়ে এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ। এই কাঁচা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ছাত্র-ছাত্রীসহ, রোগী আনা নেয়া ও মৃতদেহ বহনে চরম বেদনায়ক হয়ে দাড়াঁয়। এমন সময়েই ওই এলাকার নুরুন্নবী বাবুর্চি নামে এক হৃদয়বান ব্যক্তি হাতে নিলেন সড়কটি কাঁচা থেকে ঢালাইয়ে রুপান্তরিত করার মহৎ উদ্যোগ। এই সড়ক দিয়ে যাতে মানুষ নির্বিঘেœ হাঁটতে পারে এমন ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি। প্রচুর পরিমান অর্থ ব্যয় করে এক মাস ধরে সড়কের কাজ করে দীর্ঘ ৮৮০ ফিট লম্বা সড়কটি এখন পূর্ণাঙ্গ সড়কে পরিনত। শনিবার (২জুন) সড়কের ফলক উন্মোচন উপলক্ষে বাদে আছর ‘পশ্চিম নতুন বাহার ছড়া গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির লিমিটেডে’র কার্যালয়ে সামনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃতি সন্তান ও পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মেহেদী রহমান।

এর আগে ‘নুরুন্নবী (বাবুর্চি) সড়ক নামে ফলক উদ্বোধন করেন পশ্চিম নতুন বাহারছড়া গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি মোরশেদুল আজাদ (আবু)।

পশ্চিম নতুন বাহারছড়া গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সংগঠনের আয়োজনে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জসিম উদ্দিন, নতুন বাহার ছড়া সমাজ কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আবু, পশ্চিম নতুন বাহারছড়া গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: এর সহ সভাপতি বাদশা মিয়া, উপদেষ্টা শফিউল কবির, অর্থ সম্পাদক নুরুল হাকিম, সদস্য আব্দু রহমান, সমিতির নির্বাহী সদস্য বাবুল মিয়া প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের সভাপত্বিত্বে সঞ্চালনা করেন কলেজ ছাত্র মাহবুব আলম (মিরু)।

প্রধান অতিথির বক্তেব্য হাসান মেহেদী রহমান বলেন, অবহেলিত এলাকায় এই রকম সড়ক করে দেয়ায় এলাকার মানুষের জন্য গর্বিত। হাজার হাজার বার বলার পরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে পাওয়া যায় না। এমন স্থানে একজন সাধারণ মানুষ হয়েও নিজ অর্থে রাস্তার উন্নয়ন করে দিলেন নুরুন্নবী বাবুর্চি।

হাসান মেহেদী মনে করেন, এলাকার মানুষরাই যদি সচেতন হয় তাহলে আর কিছুর দরকার পড়ে না। এমনই একজন উদাহারণ নুরুন্নবী বাবুর্চি। এই সড়ক ছাড়াও এলাকার ড্রেন দখল, ভরাটের বিষয়ে আমাদের অনেক সচেতন হতে হবে।

সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করি। আমরা যদি সচেতন হয়, তাহলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য ডাষ্টবিন দিয়েছি, অথচ ব্যবহার করতে জানে না। আমাদের তা ব্যবহার করতে হবে। একজন নুরুন্নবী বাবুর্চি হাতে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন দুর্ভোগকে কমিয়ে কিভাবে উন্নয়ন করতে হয়।