ফারুক আহমদ, উখিয়া:

ঈদকে সামনে রেখে উখিয়ায় হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি হুন্ডি সিন্ডিকেট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাকিঁদিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা বিতরণ করছে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কারনে সরকার বিপুল পরিমান বৈদেশিক রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

খোজ খবর নিয়ে জানাযায়, দক্ষিণ কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফের হাজার হাজার লোক সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, মালেশিয়া সহ মধ্য প্রাচ্যে বসবাস করছে। বিদেশে অবস্থান রত প্রবাসীরা বাংলাদেশে টাকা পাঠায় হুন্ডির চালানীর মাধ্যমে। তবে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। উখিয়া থানার পুলিশ জানান, হুন্ডির মাধ্যমে চালানীর টাকা বিতরণ এমন অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

দায়িত্ব শীল সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও বিতরণ সর্ম্পূন নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। কিন্তু সরকারের এ আইনকে বৃদ্বাআঙ্গুলি দেখিয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে উক্ত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে প্রকাশ উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের ০৬নং ওর্য়াডের ইনানী গ্রামের সালামত উল্লাহর পুত্র জাফর উল্লাহ নামক এক ব্যক্তি উখিয়া, টেকনাফে হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। তার ভাই মুফিদুল আলম সৌদি আরবে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাজ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে হুন্ডি চালানীর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠায়। তার ভাই ছালামত উক্ত টাকা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছে। শুধু তাই নই মধ্য প্রাচ্যে বসবাস রত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাঠানো টাকা ও তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে বিতরণ করে। এছাড়া ও থাইংখালীর জয়নাল উদ্দিন নামক এক ব্যক্তি হুন্ডি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। অনেক প্রবাসী জানান ব্যাংকিং লেনদেন করে দেশে টাকা পাঠানো ঝামেলা বিধায় হুন্ডি মাধ্যমে সহজে তারা পরিবারের জন্য টাকা পাঠায়।

সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগ সরকার হুন্ডি ব্যবসা বা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন নিষিদ্ব করলে ও পুলিশ প্রশাষনকে ফাকি দিয়ে কি ভাবে তা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকে ভিন্ন মত পোষন করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গোপন আতাঁত করে হুন্ডি সিন্ডিকেট সদস্যরা অবৈধ ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।

সুশীল সমাজের অভিমত রাষ্ট্রীয় সংস্থা গুলো হুন্ডি ব্যবসায়ীদেরকে নজর ধারী করলে উক্ত ব্যবসায় কারা কারা জড়িত তা সনাত্ত করা সম্ভব হবে।