পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এমনকি স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ৩মহিলাকে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে। আহতেরা হলেন, টইটং ইউনিয়নের আবাতিঘোনা এলাকার আবদু রহিমের স্ত্রী মোস্তফা খাতুন(৫৫), আসকর আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪০) ও কন্যা সুমাইরা বেগম(২৫)। শনিবার(২জুন) ভোর ৬টায় জবর দখল ও হামলার ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার মধ্যে মোস্তাফা খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: ফাহিম।

আহত মোস্তফা খাতুনের স্বামী আবদু রহিম বলেন, বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী আর টইটংয়ের আবাতিঘোনা সীমান্তবর্তি এলাকা। পাহাড়িয়াখালীর জাফর আলমের পুত্র বহু মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই মো: আলমগীরসহ তাদের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র পাহাড়ে দখল জমি জবর দখল বেদখল ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছিলেন জাহাঙ্গীর আলম ও তার বাহিনী। এর আগেও কয়েকবার দখল চক্রান্ত অব্যাহত রাখায় আইনের আশ্রয় নিয়েছিলাম। তার আইনকে কোন ধরণের গ্রাহ্য করেনা। সর্বশেষ শনিবার ভোরে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আলমগীর, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, রেজাউল করিম, আবছার(১), আবছার(২), আব্বাছ, সোহেলসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি টংঘর তৈরি করে আমাদের বেশকিছু জমি জবর দখল করে নেয়। এ সময় বাড়ির মহিলারা বাধা প্রদান করলে তাদের উপর উপর্যপুরী হামলা চালায় তারা। এ সময় ৩মহিলা আহত হয়। তার মধ্যে আমার স্ত্রীর একটি হাত অল্পের জন্য দ্বিখন্ডিত হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অহরহ মামলা থাকলেও এলাকায় বীরদর্পে চলাফেরা করছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য এজাহার জমা দিচ্ছি থানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। দখল আমি করিনি। যাদের জমি তারা দখল করেছে। মহিলা আহত হওয়ার কোন খবর আমার কাছে নাই।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এখনো অভিযোগ পায়নি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।