নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র মদিনায় বসবাসরত কক্সবাজার বাসীর সর্ববৃহৎ সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন মাদানী ফোরামের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।

১৬ ই রামাদান, শুক্রবার স্থানীয় বাঙালি মার্কেটস্থ মোহাম্মদীয়া হোটেলে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় কোরআন তেলাওয়াত ও সরল অনুবাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অাবু তাহের চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) এর যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর ও তানযিমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা কক্সবাজার শাখার অধ্যক্ষ রিয়াদ হায়দার।

মাদানী ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মাহদীর সভাপতিত্বে সভার প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী বলেন, প্রবাসীদের শ্রমের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। দূর হচ্ছে বেকারত্ব। ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রবাসের মাটিতে ও দেশের অর্থনীতে এ সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ করে ব্যক্তিগত জীবনে যদি তার প্রতিফলন ঘটানো যায়, তাহলে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও তার আআধ্যাত্মিক ও নৈতিক প্রভাব পড়বে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) এর যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর বলেন, মাদানি ফোরাম গঠনের মাধ্যমে প্রবাসের মাটিতেও ঐক্যবদ্ধ ভাবে সবার কল্যাণে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে সে জন্য সবাইকে মোবারকবাদ জানাই।  আর সৌদি আরবের সাময়িক যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য প্রবাসীদেরকে আল্লাহর সাহায্য ও ধৈর্যধারণের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উল্লাহ মাহদী বলেন, কক্সবাজার মাদানি ফোরাম সুচনালগ্ন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মানবসেবা মূলক কাজ করছে।

রামাদানের তাৎপর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার মাসে কোরআন নাযিল হওয়ার কারণে এর মাহাত্ব ও গুরুত্ব অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। সিয়াম পালনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ তাকওয়া হাসিল করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, কোরআন মানবমন্ডলীর জন্য হেদায়েতের গ্রন্থ হিসাবে নাযিল হয়েছে। সবাইকে কোরআনের কাছে ফিরে আসতে হবে। তাহলে সত্যিকার মানবতার মুক্তি ও শান্তি মিলবে।
বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সহ সভাপতি গোলাম মওলা।

উপস্থিত ছিলেন- কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্বশীলসহ সদস্যবৃন্দ ও মদিনায় অবস্থানরত প্রবাসীবৃন্দ।

সভা শেষে সংঠনের ঈদ পুনর্মিলণীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।