☞ রবীন্দ্র, নজরুল সাহিত্যযুগে অবিভক্ত দুই বাংলায় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ইত্যাদি সংবাদ ও সাহিত্য পত্রিকা খুব বেশি ছিলো না । এখন ছোটো, বড় পত্রিকা লাখের বেশি রয়েছে । তখন ডাক যোগাযোগ উন্নত ছিলো না । ফেসবুক তো ছিলোই না । ডিজিটাল যুগে যে সকল চোর, সাহিত্যিকদের লেখা চুরি করে তারা শুধু চোরই নয় তারা সাহিত্য জগতটা কুলষিত করে চলেছে । তারা সাহিত্য জগত সম্বন্ধে কিছুই বুঝে না । এখন বেশিরভাগ কবি, সাহিত্যিক ফেসবুক ব্যবহার করেন । একজন লেখক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুক টাইমলাইন সহ বিভিন্ন সাহিত্যগ্রূপে পোস্ট দিচ্ছেন অর্থাৎ কবিতাটি সাহিত্যজগতে ছড়িয়ে যাচ্ছে । কবিতাটি প্রকাশের জন্য লেখক প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালে দিচ্ছেন অর্থাৎ কবিতাটি সাহিত্যজগতে ছড়িয়ে যাচ্ছে । এমনকি বিভিন্ন ব্লগে প্রতিদিন কবিতা প্রকাশ করা হয় । তারপর অনেক লেখকের একই লেখা একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে থাকে । খুব কম সংখ্যক লেখকের লেখা কপি রাইট থাকে । কেউ একটি কবিতা ফেসবুকে পোস্ট দিলেন সেটা প্রকাশিত কবিতা, অপ্রকাশিত কবিতা, কাব্য গ্রন্থের কবিতা, কপি রাইট কবিতা উল্লেখ না করলে চোর বুঝতে পারবে না । কোন সাহিত্যিকের লেখা কতটা গণ্ডিশক্ত তাদের ক্ষেত্রে বুঝে ওঠা কঠিন তবুও চোরেরা চুরি করেই চলেছে । কোনো প্রকার চোর রিসিপ্ট কপি দিয়ে চুরি করে না তবুও ফেসবুক জগতে এমন চোর প্রায় ধরা পড়ছে । বাংলায় প্রবাদ বাক্য আছে- “চোরের মায়ের ডাগর গলা” । যাইহোক প্রকাশিত, অপ্রকাশিত, কপি রাইট বা যে কোনো প্রকার লেখা মূল (আসল) লেখকের সম্পদ । সাহিত্যিকের সম্পদ কখনোই চোরের হতে পারে না । চোরদের উদ্দেশ্যে বলা যায় ডিজিটাল যুগে লেখা চুরি করা মানেই নিজের ক্ষতি । চুরি করে সাহিত্যিক দূরের কথা “মানুষ” হতে পারা যায় না । চুরি করে চোর “খ্যাতি” পাওয়া যায় । ডিজিটাল যুগে সাহিত্য চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে । এ বিষয়ে প্রতিবাদী ভূমিকা নেওয়া দরকার ।

মুন্সি দরুদ (কলম মানব)

কাজীপাড়া

শান্তিনিকেতন,

জেলা – বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ