( মতামত ) 

☞ দেশে যেহারে বিভিন্ন কম্পানির আন্ড্রয়েড মোবাইল, ল্যাপটপ বাজারে এসেছে এবং যুগ ডিজিটাল হচ্ছে তাতে শিক্ষিত থেকে মূর্খ সমাজ বিজ্ঞানের দান আশীর্বাদ হিসেবে ভালো, মন্দ প্রয়োজনে ব্যবহার করে সাধ মেটাচ্ছে । এমতাবস্থায় সরকারি, বেসরকারি পাঠাগারে পাঠকের বই পড়ার রমরমা দেখায় যায় না । শতভাগ বলা যেতে পারে কত পাঠাগার বন্ধ হয়ে গেছে/যাচ্ছে । সরকারি লাইব্রেরিগুলোর অধিকাংশ একজন লাইব্রেরিয়ানকে একাধিক লাইব্রেরি মাসিক দিন হিসেবে পরিচালনা করতে হচ্ছে । এমনকি কিছু পাঠাগারের অবস্থা করুণ । স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের হাতে ইন্টারনেট পরিষেবা যুক্ত মোবাইল । ইন্টারনেটে বই পড়া যাচ্ছে, বই কেনা যাচ্ছে । মোবাইলেই সমস্ত কিছু পাওয়া যাচ্ছে । এমনকি কবিতা, ছড়া, গল্প পড়া, লেখা সবই মোবাইলের মাধ্যমে হচ্ছে । যাদের হাতে মোবাইল নেই তাদের হাতে ধীরে ধীরে ইন্টারনেট যুক্ত মোবাইল পৌঁছে যাচ্ছে । মোবাইল কার হাতে নেই বলুন তো ? ভ্যান চালক প্লেনে চাকরি পাচ্ছে, হাতি বঙ্গবাহাদুর খ্যাতি পাচ্ছে এমতাবস্থায় পাড়া-গ্রামের মূর্খরা অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে বা কম বেশি পারছে । সব দেশ কম বেশি উন্নত, ডিজিটাল হচ্ছে এই মূহুর্তে গ্রামিন, আঞ্চলিক পর্যায়ের পাঠাগার সহ স্কুল, কলেজের পাঠাগার এক অজপাড়া-গাঁয়ের লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিতে পরিণত হতে চলেছে । আধুনিক যুগের যুবক, যুবতী, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী যে পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে এবং স্কুল, কলেজে যে রাজনীতি, ঝামেলা দেখা যায় তাতে মনে হয় না তারা আন্ড্রয়েড মোবাইল হাতে নিয়ে পাঠাগারে বসে কোনো কবি, সাহিত্যিকের বই পড়বে; এমন যুগ আর আছে কি ? যতক্ষণ কোনো কবি, সাহিত্যিকের একটি বই পড়বে ততক্ষণ তারা নিজের ক্লাসের বই পড়বে কারণ স্কুল, কলেজের শিক্ষায় আগের থেকে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, পাঠ্য পুস্তক বেড়েছে, পিঠের ব্যাগ ভারি হয়েছে । আধুনিক যুগের যুবক, যুবতী, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী মোবাইলে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করছে, গেম খেলছে, মুভি ডাউনলোড করছে তাই গ্রামিন, আঞ্চলিক, স্কুল, কলেজের পাঠাগারে কোনো কবি, সাহিত্যিকের বই পড়তে দেখা যায় না । ডিজিটাল যুগে নতুন করে পাঠাগার উদ্বোধন করা বিজ্ঞানের সাথে পাল্লা দিয়ে হোঁচট খাওয়ার মতো ব্যাপার । পাঠাগার থাকলেও পাঠাগারে বই পড়ার যুগ লুপ্তপ্রায় হতে চলেছে !!

মুন্সি দরুদ

কাজীপাড়া

শান্তিনিকেতন,

জেলা – বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ