‘আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি’

ডেস্ক নিউজ:

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি। মাদকের কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না। সে যে বাহিনীরই হোক না কেন। তিনি বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধে নিরীহরা মরছে না। দীর্ঘদিন থেকে নজরে রাখা হয়েছে মাদক পাচার ও চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িতের। মূলত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মাদকের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মাদকের কারণে সমাজে আজ হাহাকার বইছে। মাদকের কারণে ছেলের হাতে বাবা, মেয়ের হাতে মা খুন হচ্ছেন। মাদক নিয়ে মিডিয়ায়ও তো তোলপাড়। তাহলে আজ অভিযান নিয়ে কেন এমন বিরোধিতা হচ্ছে। অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ মরছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবারই আছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্দুকযুদ্ধে কেউ মারা গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরই বা কি করার আছে।

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে যদি কেউ কিছু করে থাকে সেটার কিন্তু বিচার হয়। আপনারা একটা ঘটনা দেখান যে একজন নিরীহ মানুষ শিকার হয়েছে। একটা অভিযান করতে গেলে, একটা ঘটনা ঘটলে যদি সেটাকে বড় করে দেখান, তাহলে কি অভিযানটা বন্ধ করে দেব? আজ সারা দেশের ঘরে ঘরে হাহাকার এই মাদকের জন্য। তার বিরুদ্ধে অপারেশন করা যাবে না? এই ধরনের একটা অভিযান করতে গেলে এ ধরনের দু/একটি ঘটনা ঘটতেই পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কাকে গডফাদার বলছেন সেটা আমি জানি না। যারা জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন যাবৎ এটা নিয়ে কাজ করেছে। হঠাৎ করে এ অভিযান শুরু হয়নি। সমাজে কিন্তু এখন শান্তি ফিরে এসেছে। বুধবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিম বঙ্গে দুদিনের সরকারি সফর শেষে ২৭ মে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পশ্চিম বাংলা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সম্মানিত অতিথি হিসেবে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন এবং পশ্চিম বঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তি নিকেতনে সদ্য নির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন এবং সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। দেশে ফেরার আগে কলকাতায় পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সফরকালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি পরিদর্শন করেন।