এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কলেজ শিক্ষার্থীর উপর দিবালোকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে ভোক্তভোগী। ২৮ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁওর মধ্যম মাইজ পাড়া এলাকায়। তবে অভিযোগ

সূত্রমতে, ঐদিন সকালে পাশ্বর্বতী কবির আহমদের পূত্র ইয়াহিয়া তার বাড়ীর আমগাছে উঠে আম পাড়ছে, কিন্তু ঐ আমগুলো আশিকের দাদার বাড়ীর টিনের উপর অধিকহারে পড়তে থাকে। এ সময় তার বৃদ্ধ দাদা আবু ছৈয়দ সওদাগর প্রতিবাদ করলে, এতে প্রতিপক্ষ ইয়াহিয়া উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে অকথ্য ভাষায়।

পবিত্র রমজানে গালিগালাজের মাত্রা যখন বৃদ্বি পাচ্ছে তখন অভিযোগকারী শিক্ষার্থী আশিক ঘুম থেকে উঠে এর প্রতিবাদ করতে চাইলে তখনই ইয়াহিয়া ও তার পিতা কবিরের নেতৃত্বে সাঙ্গপাঙ্গরা মৃত আলম তাহেরের পূত্র জুবাইর ফরহাদ আশিকের উপর হামলা চালায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় একইদিন রাতে দুইজনের বিরুদ্বে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হামলার শিকার হওয়া আশিক।

আরো জানা যায়, বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষরা নানা সময়ে কারনে অকারনে বৃদ্ব দাদা – দাদীকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর আক্রমনের চেষ্টা এবং বিভিন্ন ভাবে শত্রুতায় করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পূর্বেকার সময়েও অনেকবার তদন্ত কেন্দ্রে শালিশ বিচারের জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্বাশীল না হয়ে বরং উল্টো এসবের তোয়াক্কা করে চলছে।

তবে স্থানীয় লোকজনের মতে, এ ঘটনার সুষ্ট সমাধান না হলে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেন তারা।

তবে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুইয়ার সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ হাতে পেয়েছে। পরর্বতীতে এএসআই আহসান মোর্শেদকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

অন্যদিকে উক্ত এএসআই এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তবে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উধ্বর্তন কতৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশনা পাইনি বলে জানান।

অন্যদিকে ভোক্তভোগী আশিক জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্বাশীল হয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিকে এ বিষয়ে অবগত করে রেখেছি। তবে আমার উপর হামলার সুষ্ট বিচার দাবী করছি। তবে প্রতিপক্ষ ইয়াহিয়ার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।