আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে চকরিয়ায় বেতুয়াবাজারস্থ মাতামুহুরী নদী থেকে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান ধরেছে। এনিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলাসহ পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে বালু উত্তোলনকারী অসাদু মহল। কিন্তু এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়াবাজার পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে চলেছে স্থানীয় ছুট্টো নামে এক ব্যক্তি। এছাড়াও চকরিয়ায় উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ফের শুরু হয়েছে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নীতিমালা থাকলেও জড়িত বালু দস্যুরা তা অমান্য করে বহাল তবিয়তে চালাচ্ছে এ ব্যবসা। এসব বালু উত্তোলন মেশিন জব্দ করে কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে চকরিয়া উপজেলায় বালু উত্তোলনকারীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল টাকা রাজস্ব দিয়ে তারা বালু মহাল ইজারা নিলেও মাতামুহুরী নদী থেকে এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন পূর্বক ব্যবসা চালু থাকার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এব্যাপারে প্রশাসন অভিযুক্ত অবৈধ বালু লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসা মন্দার কারণে ইজারাদাররা সরকারি বালু মহাল ইজারা নিতে অনীহা জানাবেন।

অপরদিকে পাউবো’র নির্মাণ কাজে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন অভিযোগ করেছেন, প্রতিরক্ষা উন্নয়ন কাজের প্রকল্প এলাকা ঘেষে মাতামুহুরী নদী থেকে বছর ধরে এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে গেল বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকায় নদী তীরে ব্যাপক ভাঙ্গনের শুরু হয়। এ অবস্থার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বিপুল টাকা খরচ করে অনেক চেষ্টা করেও নির্মাণ কাজটি চলতিবছর জুনমাসে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে তা অনেকটা বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে মেশিন বসিয়ে কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যবহৃত মিশিন জব্ধ করা হবে।