‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌর মেয়র মাবু’র খোলা চিঠি’ শিরোনামে  ২৮ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম ও কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত কক্সবাজার পৌরসভার সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। বক্তব্যের শেষাংশে আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারি ওয়াসিমের নাম দেখে যারপরনাই হতবাক হয়েছি। সরকার দলীয় রাজনৈতিক সংগঠন জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম সারির একজন বিচক্ষন নেতা এবং জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি’র গণমাধ্যমে দেয়া প্রায় পুরো বক্তব্যই বাস্তবতার নিরিখে সমর্থনযোগ্য। একই সাথে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বক্তব্য অনুযায়ী যেমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে নিরীহ লোকজন ইয়াবা ব্যবসার মতো জঘন্য ঘটনার শিকার হওয়া উচিত নয়, ঠিক তেমনি অনুমান নির্ভর হয়ে কারো নাম ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে জুড়ে দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আইনশৃংখলাবাহিনীকে উসকে দিয়ে সম্মানহানি ও যেকোন ধরণের সমূহ ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়াও নিশ্চয় উচিত নয়।

সম্মানিত মেয়রের খোলা চিঠিতে যেমন আইনশৃংখলাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে কেউ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, তেমনি অনুমান নির্ভর হয়ে সম্মানিত মেয়রের দেয়া বক্তব্যে নিরীহ কারও নাম প্রকাশও কাম্য নয়। প্রকাশিত বক্তব্যে আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত উল্লেখ করা হলেও আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি দেশের আইনশৃংখলাবাহিনীর কোন তালিকাতেই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আমার নাম থাকার কথা নয়। মাদককে আমরা ব্যক্তিগতভাবে, পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে ও রাষ্ট্রীয়সহ সকলস্তরেই ঘৃনা করি। আমরা সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে। অথচ অহেতুক সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সম্মানিত মেয়রের বক্তব্যের মধ্যে আমার নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে। যা নিন্দনীয়। এরপরও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের সকল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাংবাদিকদের আমার বিষয়ে তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের আবেদন জানাচ্ছি। একই সাথে সম্মানিত মেয়র মাবু’র বরাত দিয়ে প্রকাশিত বক্তব্যে আমার নামের বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
ওয়াসিম

মগনামা, পেকুয়া, কক্সবাজার।