সোয়েব সাঈদ, রামু:

রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারিরা ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লাঞ্চিত করেছে। পুলিশ হামলায় নেতৃত্ব দেয়া সন্ত্রাসী গোলাম মওলাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত গোলাম মওলা রামুর শীর্ষ রাজাকার আবদুল হক ওরফে হক সাবের ছেলে।  সোমবার (২৮ মে) দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার ঘটনা স্বীকার করে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, দুপুরে পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের একটি গুরুত্বপুর্ণ সভা চলছিল। ওই সময় গোলাম মওলার নেতৃত্বে আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রবেশ করে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে। এ পর্যায়ে তারা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে চরম অশোভন আচরণ শুরু করে। এসময় চেয়ারম্যান এসবের কারণ জানতে চাইলে মওলা ও তার সহযোগিরা পরিষদের টেবিল, কাঁচ সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় সকল মেম্বার এবং উপস্থিত জনতা গোলাম মওলাকে হাতে-নাতে ধরে বেধে রাখে।

চেয়ারম্যান পুলিশকে অবহিত করলে এসআই একরাম এর নেতৃত্বে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু ততক্ষণে গোলাম মওলা নামাজ পড়ার অজুহাতে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে কৌশলে গোলাম মওলাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফর আলম জানিয়েছেন, সম্প্রতি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে বেঁড়িবাধ সংস্কার কাজ চলছে। গোলাম মওলা প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে জোরপূর্বক নিজের কাজ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু পরিষদ সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হসে পরিষদের এসে হামলা ও তাদের লাঞ্চিত করেছে।

ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, সরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলা নজিরবিহীন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরাম জানিয়েছেন, পরিষদ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে গোলাম মওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গোলাম মওলা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, জঙ্গী তৎপরতা সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।