“এমপি বদিকে বিতর্কিত করাই তাদের মূল কাজ”

জে.জাহেদ,চট্টগ্রাম:

সাম্প্রতিকতম সময়ে সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ অভিযান অনির্দিষ্টকাল সময় পর্যন্ত চলবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

চারদিকে যেন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে আর চলছে। সে সাথে দেশের নানা মিডিয়ায় যার নামটি বেশি আলোচনা হচ্ছে। তিনি হলেন সরকার দলীয় প্রভাবশালী এমপি আব্দুর রহমান বদি।

একদিকে যেমন প্রভাশালী সংসদ অন্যদিকে তেমনি নানা বিতর্কিত। একাধিক সরকারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলায় হয়েছেন নানা সমালোচিত ও।

যখনেই হঠাৎ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। সেসময় আবারো ঘুরেফিরে দেশে “টক অব দ্যা কান্ট্রি হলেন সংসদ আব্দুর রহমান বদি”।

গত দুই সপ্তাহে ৭০ জন মতো নিহত হয়েছেন বন্দুকযুদ্ধ ও অভিযানে। এতে নানা জনে নানা মন্তব্য করছে এমপি বদিকে নিয়ে। তার পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য সামাজিক সাইট ও অনলাইন নিউজে ভাইরাল হচ্ছে।

কিন্তু ২৮মে রাত আড়াইটার দিকে উখিয়া টেকনাফ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদি পুত্র শাওন আরমান নিজের ফেসবুক পাতায় বাবা সম্পর্কে একি মন্তব্য করেছেন।

যা পাঠকের প্রয়োজনে হুবহু তুলে দেওয়া হলো।

“জাগো বাংলাদেশ জাগো”- যারা আমার পিতা আবদুর রহমান বদিকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই লিখা….

আমার পিতা আবদুর রহমান বদি যিনি উখিয়া-টেকনাফ আসনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুই বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গরীব-অসহায় মানুষের পাশে থেকে যিনি রাজনীতি করেছেন। তাদের পাশে থেকেছেন। আর পাশে থাকাই আজকে ওনার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পিতা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন বিএনপির ৪ বারের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছিলেন উখিয়া-টেকনাফের জনগণের পবিত্র ভোটাধিকার নিয়ে। সেই পবিত্র আমানত ভোটের অধিকার রক্ষায় উখিয়া-টেকনাফের উন্নয়নে তিনি কি করেছেন তার স্বাক্ষী উখিয়া-টেকনাফের জনগণ। এরপরের বার অর্থাৎ ১০ সংসদ নির্বাচনেও আবারো নির্বাচিত হয়ে আজ পর্যন্ত তিনি পিছিয়ে পড়া উখিয়া-টেকনাফকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি কারো কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বা সুবিধা দাবী করেছেন তা কেউ বলতে পারেনি। কিন্তু একটি জঘন্য অপবাদ ওনার বিরুদ্ধে দেয়া হয় যা বর্তমান সময়ে আলোচিত সেটি হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আসা মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসায় ওনি জড়িত । যে মরন নেশার ছোবল সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওনি কি আদৌ এই ব্যবসায় জড়িত বা এই ব্যবসায় কাউকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন কিনা? যারা আমার পিতাকে কথায় কথায় ইয়াবা ব্যবসায়ী বানান তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন?

১. ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কাউকে বাচানোর জন্য আমার পিতা সারা বাংলাদেশে প্রশাসনের কাউকে অনুরোধ করেছেন কিনা?

২. কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা?

এছাড়াও আরো অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। যাক এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে….
আমার পিতাকে যদি এই অপবাদে জড়িয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে লাভবান হবে কারা এবং তারা কি জন্য এগুলো করছে:

যদি এমপি বদিকে ইয়াবা নিয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে যারা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ী তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে। কারন সবার দৃষ্টি থাকবে ওনার দিকে আর সে সুযোগে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের মত করে ব্যবসা করবে। এছাড়াও রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি-জামায়াত চরম ভাবে লাভবান হবে। কারন তাদের হারানো আসন পুনরোদ্ধার করতে এমপি বদিকে বিতর্কিত করাই তাদের মূল কাজ। আর সেই কাজে তাদের অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে এই জঘন্য ইয়াবা ব্যবসায় এমপি বদিকে জড়ানো।

তাই সর্বশেষ বলবো, আপনার যারা আমার পিতাকে ভুল বুঝে নানা ভাবে মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, দয়া করে অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে দিনের আলোতে এসে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষন করে কথা বলুন। তাতে একজন মানুষ মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পাবে আর প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আইনের আওতায় আসবে।
ধন্যবাদ সবাইকে…..”।
মোঃ হেলাল রহমান নামে এক যুবক শাওনের স্টাটাসে মন্তব্য করেছেন,এসবের জন্য আইন আছে এবং আইনের লোক আছে। তাঁরা সত্য মিথ্যা যাচাই বাচাই করবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। যদি এমপি বদি দোষী হয় তাহলে সে তার শাস্তি পাবেন। লোকে বলাবলি করলে তো আর নিদোষী বা দোষী হয়না।
শাওনের ফেসবুকে হতে নেওয়া।এমপি বদিকে নিয়ে ছেলে শাওনের ফেসবুক স্টাটাস
“এমপি বদিকে বিতর্কিত করাই তাদের মূল কাজ”

জে.জাহেদ,চট্টগ্রাম ব্যুরোচিফ:

সাম্প্রতিকতম সময়ে সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ অভিযান অনির্দিষ্টকাল সময় পর্যন্ত চলবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

চারদিকে যেন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে আর চলছে। সে সাথে দেশের নানা মিডিয়ায় যার নামটি বেশি আলোচনা হচ্ছে। তিনি হলেন সরকার দলীয় প্রভাবশালী এমপি আব্দুর রহমান বদি।

একদিকে যেমন প্রভাশালী সংসদ অন্যদিকে তেমনি নানা বিতর্কিত। একাধিক সরকারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলায় হয়েছেন নানা সমালোচিত ও।

যখনেই হঠাৎ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। সেসময় আবারো ঘুরেফিরে দেশে “টক অব দ্যা কান্ট্রি হলেন সংসদ আব্দুর রহমান বদি”।

গত দুই সপ্তাহে ৭০ জন মতো নিহত হয়েছেন বন্দুকযুদ্ধ ও অভিযানে। এতে নানা জনে নানা মন্তব্য করছে এমপি বদিকে নিয়ে। তার পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য সামাজিক সাইট ও অনলাইন নিউজে ভাইরাল হচ্ছে।

কিন্তু ২৮মে রাত আড়াইটার দিকে উখিয়া টেকনাফ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদি পুত্র শাওন আরমান নিজের ফেসবুক পাতায় বাবা সম্পর্কে একি মন্তব্য করেছেন।

যা পাঠকের প্রয়োজনে হুবহু তুলে দেওয়া হলো।

“জাগো বাংলাদেশ জাগো যারা আমার পিতা আবদুর রহমান বদিকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই লিখা….

আমার পিতা আবদুর রহমান বদি যিনি উখিয়া-টেকনাফ আসনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুই বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গরীব-অসহায় মানুষের পাশে থেকে যিনি রাজনীতি করেছেন। তাদের পাশে থেকেছেন। আর পাশে থাকাই আজকে ওনার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পিতা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন বিএনপির ৪ বারের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছিলেন উখিয়া-টেকনাফের জনগণের পবিত্র ভোটাধিকার নিয়ে। সেই পবিত্র আমানত ভোটের অধিকার রক্ষায় উখিয়া-টেকনাফের উন্নয়নে তিনি কি করেছেন তার স্বাক্ষী উখিয়া-টেকনাফের জনগণ। এরপরের বার অর্থাৎ ১০ সংসদ নির্বাচনেও আবারো নির্বাচিত হয়ে আজ পর্যন্ত তিনি পিছিয়ে পড়া উখিয়া-টেকনাফকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি কারো কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বা সুবিধা দাবী করেছেন তা কেউ বলতে পারেনি। কিন্তু একটি জঘন্য অপবাদ ওনার বিরুদ্ধে দেয়া হয় যা বর্তমান সময়ে আলোচিত সেটি হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আসা মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসায় ওনি জড়িত । যে মরন নেশার ছোবল সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওনি কি আদৌ এই ব্যবসায় জড়িত বা এই ব্যবসায় কাউকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন কিনা? যারা আমার পিতাকে কথায় কথায় ইয়াবা ব্যবসায়ী বানান তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন?

১. ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কাউকে বাচানোর জন্য আমার পিতা সারা বাংলাদেশে প্রশাসনের কাউকে অনুরোধ করেছেন কিনা?

২. কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা?

এছাড়াও আরো অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। যাক এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে….
আমার পিতাকে যদি এই অপবাদে জড়িয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে লাভবান হবে কারা এবং তারা কি জন্য এগুলো করছে:

যদি এমপি বদিকে ইয়াবা নিয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে যারা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ী তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে। কারন সবার দৃষ্টি থাকবে ওনার দিকে আর সে সুযোগে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের মত করে ব্যবসা করবে। এছাড়াও রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি-জামায়াত চরম ভাবে লাভবান হবে। কারন তাদের হারানো আসন পুনরোদ্ধার করতে এমপি বদিকে বিতর্কিত করাই তাদের মূল কাজ। আর সেই কাজে তাদের অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে এই জঘন্য ইয়াবা ব্যবসায় এমপি বদিকে জড়ানো।

তাই সর্বশেষ বলবো, আপনার যারা আমার পিতাকে ভুল বুঝে নানা ভাবে মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, দয়া করে অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে দিনের আলোতে এসে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষন করে কথা বলুন। তাতে একজন মানুষ মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পাবে আর প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আইনের আওতায় আসবে।
ধন্যবাদ সবাইকে…..”।
মোঃ হেলাল রহমান নামে এক যুবক শাওনের স্টাটাসে মন্তব্য করেছেন,এসবের জন্য আইন আছে এবং আইনের লোক আছে। তাঁরা সত্য মিথ্যা যাচাই বাচাই করবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। যদি এমপি বদি দোষী হয় তাহলে সে তার শাস্তি পাবেন। লোকে বলাবলি করলে তো আর নিদোষী বা দোষী হয়না।
শাওনের ফেসবুকে হতে নেওয়া।