ডেস্ক নিউজ:

টানা চার কার্যদিবস শুনানির পর তিন মামলায় আজ রায়ের দিন ধার্য রেখেছিলেন আদালত। আদালতের রায়ে একই সঙ্গে খুশি আবার বেজার বিএনপি। তিন মামলার দুটিতে বেগম জিয়ার ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। কিন্তু অপর এক মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দুই মামলায় জামিন পেয়েও কারামুক্ত হচ্ছেন না খালেদা। এর আগে যেমনটি দেখা গেছে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও।

কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে আদালত। আর নড়াইলের মানহানির মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদেশের পরে বেগম জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুটিতে জামিন দিলেও অন্য একটি নট প্রেস রিজেক্ট করেছেন আদালত। ওই মামলায় জামিন পেতে বিচারিক আদালতে যেতে হবে। সেখানে জামিন না পেলে পরে এ বিষয়টি বিবেচনা করবে উচ্চ আদালত।

এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি। আর আদালতের আজকের আদেশের মধ্যে দিয়েও ঝুলেই থাকল খালেদার মুক্তি। আর আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে আজ জামিন আবেদন বাতিল হওয়া মামলাটি নিয়ে কয়েক ঘাট ঘুরে আসতে হবে বেগম জিয়ার আইনজীবীদের।

দুই মামলার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডক্টর বশিরুল্লাহ।

আরও চারটি মামলা চলমান আছে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে। কারামুক্তি পেতে হলে বেগম জিয়াকে সব মামলায়ই জামিন পেতে হবে। এবং জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হলেও তা উচ্চ আদালত থেকে বহাল রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর যে অবস্থা তাতে সব মামলায় জামিন এবং উচ্চ আদালতে জামিন বহাল রাখা ঈদের আগে শেষ হবে না। তাই ঈদটা কারাগারেই কাটাতে হবে বেগম জিয়াকে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বেগম জিয়া।