শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে যৌতুক এনে না দেওয়ায় উপর্যপুরী মারধর ও ঘর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। আহত স্ত্রী চিকিৎসা শেষে ৪ সন্তান নিয়ে পিত্রালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।বর্তমানে ৩ মেয়ের লেখা পড়া নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছে আহত স্ত্রী। সংগঠিত ঘটনায় তিনজনকে বিবাদী করে স্থানীয় গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে ভিকটিম।

অভিযোগে জানা যায়, ১নং ইসলামপুর ইসলামপুর ইউনিয়নের খাঁন ঘোনা এলাকার মৃত হাজী দেলু মিয়ার কন্যা রিনা আক্তার (৩৮) এর সাথে ৪নং ঈদগাঁও দক্ষিন মাইজ পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালুর পুত্র ছৈয়দ নুরের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়।সংসার জীবনে এ দম্পতির ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।রিনা আক্তার জানায়, সংসারের বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে প্রায় সময় যৌতুক দাবী করে আসছিল স্বামী  ছৈয়দ নুর। ইতিপুর্বে প্রায় থেকে ৬ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিয়। তারপরও মন গলেনি যৌতুক লোভী স্বামী ও তার স্বজনদের।তারই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মে দুপুর দেড়টার দিকে যৌতুক দাবী করে স্বামী। তিনি যৌতুক এনে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ছৈয়দ নুরের ভাই ছৈয়দ হোছন ও তার স্ত্রী জোস্না আক্তারের যোগসাজশে রিনা আক্তারকে লাঠি, কিল, ঘুষি, কামড় দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বাসায় গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম রিনা আক্তারকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈদগাঁওস্থ একটি ক্লিনিকে  নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।দীর্ঘ চারদিন চিকিৎসা শেষে পিত্রালয়ে অবস্থান করছে।

জানতে চাইলে স্বামী ছৈয়দ নুর জানায়,কোন ধরনের মারধর করা হয়নি। তিনি উল্টো তার ছেলে নিয়ে আমার ভাইকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।তাছাড়া গত ২১ মে রিনা আক্তারকে তালাক দিয়েছে বলে জানায়।কেন তালাক দিলেন জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করেনি।

এ বিষয়ে জানার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলমকে কয়েকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।