নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা বলেছেন- তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে জোয়ারিয়ানালাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেছিলাম। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। এক কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমার শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছিল। ওই মাদক ব্যবসায়ীরা এখনো আমাকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিভাবে আমার নামে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে ইয়াবা গড়ফাদার বলে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সংবাদের ভাষ্যমতে- রামুর শীর্ষ ইয়াবাকারবারী ছৈয়দের সাথে আমার কোনো ধরণের যোগসূত্র বা যোগাযোগ নেই। ইয়াবা ব্যবসা নয়; আমি কখনো কোনো অন্যায় ও অপরাধ কাজে নিজেকে জড়াইনি।
রোববার (২৭মে) কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা এসব কথা বলেন।

সাবেক চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা আরো বলেন, আমি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন আমি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সেবামুলক কাজে জড়িত। আমার বাবা একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। ঢাকার গুলশান, মগবাজার, গোপীবাগ এবং চট্টগ্রামের চকবাজার কাপাসগোলা, ঘাটফরহাদবেগ ও কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে আমার পৈত্রিক ভিটে-বাড়ি রয়েছে। মগবাজারে আমার নিজ ও মায়ের প্রাপ্ত জমির অংশ বিক্রি করে আমি কক্সবাজার লাইটহাউস এলাকায় ‘আরএম’ গেষ্টহাউজ’ নামে হোটেল নির্মাণ করে ব্যবসা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বাড়ি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আমি স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছি। ইয়াবা ব্যবসা করার প্রশ্নই আসে না। এমনকি আমার পরিবারের কোনো সদস্যেরও ইয়াবা ব্যবসার সাথে দূরতম সম্পর্ক নেই।

তিনি আরো বলেন, আমার এখন ৬০ বছর। এই বয়সে কেউ অন্যায় কাজে যেতে পারে না। আমার পক্ষেও তা কখনো সম্ভব নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। মিথ্যা অপপ্রচার করে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা ষড়যন্ত্রকারীরা।

সাবেক চেয়ারম্যান নূরুচ্ছাফা সংবাদপত্র সংস্থা ও সাংবাদিকদের প্রতি নিরীহ ব্যক্তিদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান এবং এ ধরনের স্পর্শকাতর সংবাদ লেখনীতে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি উল্লেখিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীসহ এলাকাবাসিকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান।