বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলি ইউনিয়নে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডের অর্থায়নে নির্মিতব্য মাশরুম সেন্টারের কাজ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারনে স্থগিত রয়েছ। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসীদের প্রহরায় রাতের আধারে কাজ করছেন বলে চাইনিং মারমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কচ্ছপতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা চাইনিং মার্মা ভুয়া কাগজ দেখিয়ে অন্যের জায়গায় নিজের মাশরুম সেন্টার তৈরীর আবেদন করে পাবত্য মন্ত্রীর বরাবরে। মন্ত্রী অনুমোদন দিলে উন্নয়ন বোর্ড যাচাই বাছাই না করে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাশরুম সেন্টার নির্মানের কাজ শুরু করে। কিছুদিন পর জায়গার মালিকানা কাগজ দেখিয়ে মংচিং মার্মা আদালতে মামলা করলে আদালত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আগ পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর কাজ বন্ধ করে দেয় পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চাইনিং মার্মা রাতের অন্ধকারে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান জায়গার মূল মালিক মং চিং মার্মা।

তিনি বলেন জায়গা নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা চলছে আদালত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু চাইনিং মার্মা তার লোকজন নিয়ে রাতের অন্ধকারে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চাইনিং মার্মা বলেন এটা আমার ভোগ দখল কৃত জায়গা। আমার কাগজ পত্র ও আছে। মংচিং মার্মা শত্রুতা করে আমার মাশরুম সেন্টারের কাজ বন্ধ রাখার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি জজ কোর্টে আপিল করেছি। তবে এ ব্যাপারে উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান জেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, চাইনিং মার্মা আমাদের হেডম্যান রির্পোট দেখিয়েছিল ওটার ভিত্তিতে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। পরে আরেক ব্যক্তি জায়গার মালিকানা দাবী করে আদালতে মামলা করেন আদালত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলে আমরা কাজ বন্ধ করে দিই। তবে রাতের আধারে কাজ করলে এ দায়ি পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিবে না ।