নীতিশ বড়ুয়া, রামু:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ মনিষা, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরকে সভাপতি ও রামু এভারেষ্ট টিচিং ইনষ্টিটিউট’র অধ্যক্ষ, রামু ব্রাদ্রার্স ইউনিয়ন অন্যতম কর্মকর্তা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও সমাজ সংগঠক রাজু বড়–য়াকে সাধারণ সম্পাদক ও রুৎফুল বড়–য়াকে অর্থ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ‘রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার’ পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিতে আগামী তিন বছরের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক, বিহারাধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নীলোৎপল বড়–য়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষু শীলপ্রিয় থের, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, বিহারের দায়ক মাষ্টার সৈকত বড়–য়া, ব্রজেন্দ্র বড়–য়া, ব্যোমকেশ বড়–য়া, রুৎফুল বড়–য়া, প্রভাত বড়–য়া, পবন বড়–য়া, অরূপ বড়–য়া কালু মেম্বার, অধ্যাপক পরীক্ষিত বড়–য়া টুটুন, পলক বড়–য়া আপ্পু, মৃনাল বড়–য়া, অধ্যাপক নীলোৎপল বড়–য়া, মাষ্টার চম্পক বড়–য়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে সকলেই পঞ্চশীলে দিক্ষিত হন। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন নিমাংশু বড়–য়া।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর পর কক্সবাজারের বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিচালনয় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮ এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে উপ-সংঘরাজ, একুশে পদকপ্রাপ্ত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরকে আহবায়ক, শীলপ্রিয় থের, রুৎফুল বড়–য়া, প্রভাত বড়–য়া, অধ্যাপক পরীক্ষিত বড়–য়া টুটুন, মৃনাল বড়–য়া ও অধ্যাপক নীলোৎপল বড়–য়াকে সদস্য করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটি এক মাসের অধিক সময় বিহারের দায়ক-দায়িকাদের সাথে পৃথক পরামর্শ সভা করেন এবং বিহার পরিচালনার জন্য একটি গঠনতন্ত্র প্রনয়ন করেন।

সভা শেষে আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও আশীর্বাদ জানিয়ে সভার সভাপতি পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেন এবং নতুন বিহার পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত সকল দায়ক-দায়িকা সমস্বরে সাধুবাদ দিয়ে অনুমোদন করেন।