– এরফান হোছাইন

কিংবদন্তীর দ্বীপ মহেশখালী কক্সবাজার জেলার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় উপজেলা। এ পাহাড়ী দ্বীপে দৈনিক হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করে যার অন্যতম যাতায়াত ব্যবস্থা হলো সমুদ্রপথ ও স্থলপথ। কক্সবাজার শহর থেকে খুব সহজেই তাড়াতাড়ি যোগাযোগের অন্যতম ব্যবস্থা হলো সমুদ্রপথ। যেখান যানবাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয় স্পীড বোট, কাঠের বোট, ট্রলার ইত্যাদি। কক্সবাজারস্থ মহেশখালী জেটিঘাট টোল আদায় করা হলেও মহেশখালীর অপরপ্রান্তে গোরকঘাটা জেটিতে টোল আদায় করা হয় না। কক্সবাজার জেটিতে জনপ্রতি ৫ টাকা করে টোল দিতে হয় যদিও তাতে শেষ নয় যাত্রী যাতায়াতকালে কোন মালামাল বা ব্যাগ বহন করলেও কেজি প্রতি বাড়তি টাকা গুনতে হয়। নিম্নে কয়েজকজনের অভিযোগ তুলে ধরা হলো

শাহিন বলেন “অামার কাছে এক বার ৮-১০ কেজি ওজনের একটি ব্যাগের জন্য ৫০০ টাকা দাবি করছিল”

মাহবুব আলম বলেন “ ১৬/০৫ /১৮ তারিখে, কক্সবাজার থেকে আসার সময় আমার মোটর সাইকেল সার্ভিসিং করার জন্য কিছু মালামাল নিয়েছিলাম। আসার সময় জেটিঘাটে ২০০ টাকা টোল নিয়েছে। আমি ১০০টাকা দিতে চাইলেও নেয়না, কি করব ! চলেতো আসতে হবে । তাই ২০০ টাকা দিয়ে চলে আসলাম”

আমানুল্লাহ নামে আরেকজন যাত্রী অতিরিক্ত টোল আদায়ে আক্ষেপ করে বলেন “ যাহা আদায় করা হচ্ছে তাহা টোল বললে ভুল হবে! বাপ দাদার বকেয়া খাজনার মত বাধ্য করে দিয়ে আসতে হয। ক্রয় মূল্য ১শ টাকা হলেও টোল চার্জ ৫০ টাকা”

মহেশখালীর বাসিন্দা খোরশেদ নামে আরকজন যাত্রী অভিযোগ করেন –

“আপনি যদি ২ কেজিরও কোনো PC/CPU/LED/LCD/IPS,/ বাজারের কোন থলি ইত্যাদি নতুন ক্রয় করে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী আসেন তার জন্য আপনাকে দিতে হবে অতিরিক্ত ২০ টাকা। আর যদি শুধুমাত্র মেরামতের জন্যও মহেশখালী থেকে কক্সবাজার নিয়ে যান তবে তার জন্য আসা-যাওয়ায় দুইবারে ৪০ টাকা অতিরিক্ত টোল দিতে হবে। অনেক সময় এই ২০ টাকা ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে তা সাধারণ জনগণের জন্য হয়রানির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে”

যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল টোল আদায়কারীকে কাদের অনুমোদনের ভিত্তিতে টোল আদায় করা হচ্ছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা দাবি করে BIWTA (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অনুমতিক্রমে টোল আদায় করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ টোল সরকারীভাবে বৈধ কিনা তা কর্তৃপক্ষের সুনজর আকর্ষণ করছি ।যদি বৈধ হয় তাহলে কিসে কি পরিমান টোল দিতে হবে তার একটা সাইনবোর্ড লাগানো উচিত।এতে যাত্রী হয়রানি কিছুটা হলেও লাঘব হবে।