কামাল শিশির,রামু :

কক্সবাজারের রামু উপজেলা বৌদ্ধ পূরার্কীতি ও প্রত্নতাত্মিক নির্দশনের জন্য সারাদেশে বিখ্যাত। এসব পুরার্কীতির মধ্যে পাঁচটি প্রধান বৌদ্ধ বিহার হল, উসাইচেন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার (বড় ক্যাং), মংরী তাজং (লাল চিং), সামোচিং (সাদাচিং), শ্রীকুল মৈত্রী বিহার, উংনা ফাক ক্যাং (শ্রীকুল রাখাইন বিহার) চৌমুহনী বাসস্টেশন থেকে চেরাংঘাটা তথা বৌদ্ধ মন্দির সড়কে অবস্থিত। সারা বছর পূরার্কীতিগুলো দেখার জন্য দেশী-বিদেশী পর্যটকেরা এ সড়কে চলাচল করেন। কিন্তু সড়কটির দূরাবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।

সড়ক ভেঙে বড় গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। বৌদ্ধ মন্দির সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রায় এক বছর ধরে বেহাল অবস্থা হলেও সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেই। ফলে দুর-দুরান্ত থেকে বৌদ্ধ বিহার দেখতে আসা পর্যটকসহ চলাচলে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

২০১৭ সালের বন্যায় সড়কটির এমন দুরাবস্থা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, সত্বর সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু না হলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চৌমুহনী থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র এক কিলোমিটার। এরমধ্যে তেলীপাড়া সেতু থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক মাস্টার মংহ্ল্প্রু পিন্টু জানান, বৌদ্ধ মন্দির সড়কটি শুধুমাত্র পূরার্কীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, জেলার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ চাতোপা জাদী, জেলার সবচেয়ে বড় ফকিরা বাজার, বাঁশ বাজার এবং পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর পূর্বাঞ্চল গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কটির দ্রুত সংস্কার জরুরি।

রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, এটি উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গতবছর বন্যার কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু অংশ কার্পেটিং থেকে আরসিসি করা হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্ত আধা কিলোমিটারও আরসিসি সড়ক করার পরিকল্পনা চলছে।